মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।বরিশাল নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখা।আজ শনিবার ( ০১ এপ্রিল) দুপুরে এই সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তি একাত্ম হন।এতে সভাপতিত্ব করেন বাসদের বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তী।
সভাপতির বক্তব্যে মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘মাছ-মাংস-চালের স্বাধীনতা চাওয়া যদি অপরাধ হয়,তাহলে আমরা সবাই এই অপরাধে অপরাধী।১৬ কোটি মানুষকে আপনারা গ্রেফতার করুন।
মানুষের ন্যূনতম অধিকার চাইতে গেলে যদি স্বাধীনতা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়,তাহলে দেশে একটি নৈশ ভোট, একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করা হলো,তখন ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলো না কেন,এমন প্রশ্ন তোলেন মনীষা চক্রবর্তী।তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের জোচ্চুরির কারণে আজ বাজারে দ্রব্যমূল্য অসহনীয়।লুটপাট,টাকা পাচারে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হলো, র্যাবের হেফাজতে জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হলো অথচ তখন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি।তিনি আরও বলেন,সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।তাই স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে বলে ভাবমূর্তি নিয়ে অতিসতর্ক হয়ে প্রতিবাদের সম্ভাবনা দেখলেই স্টিম রোলার চালাচ্ছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সন্তু মিত্রশহিদুল ইসলাম,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন শিকদার।সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বরিশাল ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক খান মনিরুজ্জামান।
কর্মসূচি থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল,প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি ও সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে জেসমিন আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।এতে দাবির পক্ষে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফকিরবাড়ি সড়কে গিয়ে শেষ হয়।
একই সঙ্গে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।আজ দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেন।কর্মসূচি থেকে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়ের সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা সভাপতি মোতালেব মোল্লা, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শ. ম. দেলোয়ার হোসেন, কবি সুভাষ চন্দ, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, জালাল আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে স্বপন ব্যানার্জী বলেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বারবার মামলা করে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।দ্রুত এই কালো আইন বাতিল এবং গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
কবি সুভাষ চন্দ বলেন,কোনো অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই একজন সাংবাদিককে গভীর রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ বন্ধ করা যাবে না।গণমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন।এই আইন বাতিল করে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
বক্তারা আরও বলেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সুসাংবাদিকতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এক কালো অধ্যায়।বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করার জন্য এই কালো আইন।এভাবে সাংবাদিকদের হয়রানি করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের পাশাপাশি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিবেদক মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।