সোহারাফ হোসেন সৌরাভ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

অধিক মুনাফার লাভ দেখিয়ে বরসা এনজিও কর্তৃক হাতিয় নেওয়া শতকাটি টাকা ফেরতের দাবিতে সাতক্ষীরা শহরের চায়না-বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করছে ক্ষতিগ্রস্থ । বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা প্রযন্ত তারা এ কর্মসূচি চালান। অবস্থান ধর্মঘটের ফলে কোন ক্রেতা পণ্য কিনতে শপিং কমপ্লেক্সে ঢুকতে পারননি। বেলা তিনটার দিকে কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হক কর্তৃক টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রক্ষিতে তারা অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি তুলে নেন।
সরজমিনে দেখা যায়,সাতক্ষীরার বৃহত্তম চায়না-বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে প্রায় ৩০০শতাধিক মানুষ অবস্থান ধর্মঘট করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই কমপ্লেক্সের দো-তলায় শপিং কমপ্লেক্সের মুল শপিং মহলে ঢুকে পড়ছেন। অনকে আবার সিড়ির ধারে অবস্থান নিয়েছেন। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক যান চলাচলের উপযাগী করতে ও তত্রুপ বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের মাতায়ন করতে দেখা যায়।
এবিষয় অবস্থান ধর্মঘট অংশ নেওয়া দেবহাটার টিকট গ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন,আশাশুনি,শ্যামনগর,দেবহাটা ও কালিগঞ্জের দশ হাজাররও বেশি মানুষের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছপ বরষা এনজিও। কারো ডিম বিক্রির টাকা,কারও বা মুরগী বিক্রির টাকা। আমরা এ টাকা ফেরত পাওয়ার দাবি করছি।
কালিগঞ্জের আকলিমা খাতুন বলন, লাভ দেওয়ার কথা বলে বরষা এনজিও মহিলাদর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এখন সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় অনেকের সংসার ভাঙার উপক্রম হয়েছে।
কালিগঞ্জের শারিরীক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন বলেন, আমি প্রতিবন্ধী। আমার স্ত্রী এবং ছেলে ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে ছিলো।পাঁচ বছর আগে বরসা এনজিওর কর্মীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেখান ৩লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমা রাখা হয়েছিলো। সেই টাকা আত্মসাতের খবর আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

বে-সরকারি সংস্থা বরসার নির্বাহী পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, গ্রাহকদের টাকা পরিশাধের লক্ষ্যে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি,

সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করা হবে। এনিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথ কথা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক আজিজ ইবন তারেক জানান, অবস্থান ধর্মঘট চলাচলে জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ উদ্যাগ নিয়েছিলো।

,২০২১ সালের ১৬ ডিসম্বর চায়না-বাংলা গ্রুপের ও বরসা এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান চিকিৎসার জন্য দুবাইয় যেয়ে মত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে তার ভাই আশিকুর রহমান সংস্থার নির্বাহী পরিচালকর দায়িত্ব পালন করছেন।