সোহারাফ হোসেন সৌরাভ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী এস আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমসহ ৭ জনের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও ওই মামলায় আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কৈখালী ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহত শিক্ষক আবুল বাশারের ভাগ্নি ইসমত আরা ডলির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শামিম হোসেন, রাশিদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, তাসিম খাতুনসহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কৈখালী এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তাকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলেছেন। চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়। সে সময়ে কৈখালী এস আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন রেজাউল করিম। আর ওই নিয়োগে অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্য হয়। যেটা নিয়ে ওই সময়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাছাড়া রেজাউল করিম বিদ্যালয়টির সভাপতি থাকাকালে স্কুলে অনিয়ম ও দূর্নীতিতে ভরে যায়। যার কারনে এবারের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটারগন তাকে বয়কট করে এবং চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব ভার গ্রহন করার পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের সম্পদের হিসাব ও অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসারকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক আবুল বাসারকে কারন দর্শানোর নোটিশও করা হয়। ঘটনার একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার গত ৪ জানুয়ারী আত্মহত্যা করেন। আর ওই ঘটনাকে পুঁজি করে চেয়ারম্যান
শেখ আব্দুর রহিমের প্রতিপক্ষ রেজাউল করিম প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমসহ ৭ জনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করান (মামলা নং: ৩)।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার অনেকদিন যাবত মানষিক দুশ্চিন্তার ভিতরে ছিলেন। যার কারনে সে নিজের পৈত্রিক বসতবাড়ি না থেকে তার শালীর বাসার পাশে অবস্থিত একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এছাড়া কারন দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার অনেক আগে এবং বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার আগে শিক্ষক আবুল বাশার কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। অথচ তিনি আত্মহত্যা করার পরে অহেতুক হয়রানী করার জন্য চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমসহ ৭ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ইতিমধ্যে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা এখন জেলহাজতে আছেন। এ সময় হয়রানী মূলক ওই মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।