আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর বল ফিল্ড এলাকায় বেপারোয়া গতিতে আসা দ্রুতগামী একটি পিক-আপ গাড়ি ও তার ড্রাইভারকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ এনে দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত এক নারীর ছেলের বৌ সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ২০ জুলাই-২০২৩ সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বুলারআটি গ্রামের মৃত্যু এজাহার আলির কন্যা ও সাতক্ষীরা শহরের মৃত্যু রমজান আলীর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৫০) ইজিবাইকযোগে সাতক্ষীরা শহর অভিমুখী যাওয়ার সময় একটি পিক-আপ তাকে বহনকারী ইজিবাইক কে ধাক্কা দিলে ইজিবাইক এর যাত্রী রোকেয়া খাতুন ছিটকে নিচে পড়ে যান এবং মাথায় মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হন।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহত রোকেয়া খাতুন কে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় জনতারা পিক আপ গাড়ি টি আটক করলে,
ঘটনাস্থলে স্থানীয় ডিম ব্যবসায়ী পুষ্পকাটি গ্রামের উজির কারিকরের ছেলে বকুল হোসেন (৩২) এসে কৌশলে পিকআপ গাড়ি ও তার ড্রাইভারকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায়
মারাত্মক জখম প্রাপ্ত রোকেয়া খাতুন এর ছেলে প্রবাসে থাকায় পুত্র বধু এসে জানতে পারেন দূর্ঘটনা ঘটানো গাড়ির ড্রাইভার এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে ডিম ব্যবসায়ি বকুল হোসেন।
আহত রোকেয়া খাতুম এর বৌমা পিক আপের ড্রাইভার কে পালিয়ে যেতে কেন সহায়তা করেছে তার কারণ জানতে চাইলে ডিম ব্যাবসায়ি বকুল হোসেন তার সাথে অসন্তোষ জনক ব্যবহার করে তিরস্কার করেন, পরবর্তীতে ওই ড্রাইভার এর মোবাইল নং চাইলেও ডিম ব্যবসায়ি বকুল হোসেন এর পরিচিত ড্রাইভার এর মোবাইল নং দিতে অস্বীকৃতি জানান, এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর পরামর্শে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।
এজাহারের কথা স্বীকার করে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই আনিস সাংবাদিকদের জানান নিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে থানায় অভিযোগ করায় ভুক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
রুগীর মাথায় ৭/৮ টি সেলাই দেয়া এবং সিটি স্কিন করা কেন হলো এই অভিযোগ করে বাদী সহ তার সহায়তাকারীদের বিবাদীসহ বিভিন্নজন বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এজাহার কেন করা হয়েছে এবং এজাহার তুলে নিতে ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হুমকি আসছে।
এ ব্যপারে উক্ত এজাহারের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিস হোসেন জানান ২৫ জুলাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী গরিব অসহায় রোকেয়া ও তার পরিবার সুষ্ঠু বিচার কাম্য করেছেন।