মুজাহিদ সাতক্ষীরা ব্যুরোঃ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে উপজেলা জুড়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা,তবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে আলহাজ্ব গাউছুল হোসেন রাজ। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে বিভিন্নভাবে প্রচারণার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন। এই ঘোষণার সাথে সাথে নিজ নিজ এলাকায় প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রচার-প্রচারণা নিয়ে।
প্রথম বারের মতো আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলাবাসীর কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন আশাশুনি উপজেলার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব গাউছুল হোসেন রাজ। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি শেখ হাসিনার উন্নয়নের আদর্শকে বিশ্বাস করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন কর্মকান্ড সারাদেশব্যাপী শুরু করেছেন তা বিশ্বে এখন মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন,আমি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র,অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমার উপজেলায় সুপিও পানির,রাস্তাঘাটের খুব সমস্যা রয়েছে। এ উপজেলা সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ায় বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিকভাবে দূর্যোগকবলিত হয়ে মানুষ অত্যন্ত অসহায় ভাবে জীবন যাপন করে যাচ্ছে। বিগত দিনে অনেক জনপ্রতিনিধিরা এসব মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি, বরং ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে শুধু জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের। উপজেলা জুড়ে শুধু অনিয়ম আর দূর্নীতি হয়েছে।দালালদের কবলে পড়ে হিন্দু ধর্মের মানুষ বেশি নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আমি ওয়াদা করছি নির্বাচিত হলে বিগত দিনের মত এসকল অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকবো।তিনি বলেন, আমি সরকারি বরাদ্দকৃত একটি টাকাও নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগাবো না।কারন আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়েই আমি প্রচার প্রচারণায় নেমেছি। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবো।