আজহারুল ইসলাম সাদী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
রোববার (১৪ জুলাই) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর (২) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি একে ফজলুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানউল্লাহ আল হাদী, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব কুমার বসু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন কারিমী, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, কলারোয়া উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল ফেরদাউস আলফা, সমাজ সেবক ডা. আবুল কালাম বাবলাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় সীমান্তে মাদকদ্রব্য চোরাকারবারী বন্ধসহ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন, প্রাণ সায়রের খালকে প্রবাহমান করা, চুরি রোধে শহরের সংগীতা মোড়ে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান বন্ধ, শহরের যানজট নিরসনে বাস টার্মিনাল স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা, অনলাইন জুয়ারীদের আইনের আওতায় আনাসহ জেলার উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
বিশেষ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চলমান উচ্ছেদ অভিযানে সম্বল হারানো মানুষদের পুনর্বাসন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কালে কিছু কিছু স্থাপনা এখনো না ভাঙায় এগুলো স্বজন প্রীতি কিনা সংসদ সদস্যরা সভায় প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, উচ্ছেদের আগে যখন সড়ক বিভাগ এই জায়গাগুলোর মাপজরিপ করে চিহ্নিত করার সময় এই সংশ্লিষ্টদের (জমির মালিক বা ওই অঞ্চলে বসবাস করে) ডাকা প্রয়োজন ছিল, যদি সবাইকে ডাকা হয়ে থাকে তাহলে আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, না হলে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরাও চাই রাস্তা সম্প্রসারিত হোক, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জনদুর্ভোগে ফেলে নয়?
আমরা অতি দ্রুত সম্বল হারা মানুষদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানাচ্ছি।
কিছু মিডিয়ায় বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বক্তারা বলেন,জেলায় কিছু কিছু পত্রিকা আছে যেগুলো নিয়মিত প্রকাশিত হয় না, সেই প্রিন্ট মিডিয়াগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে কালকের পত্রিকা আজকে ই-পেপার আকারে ফেসবুকে প্রকাশ করে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে পরের দিন সেই পত্রিকা আবার প্রকাশিত হয়। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের কোন নিয়মই নেই। তাদের মূল উদ্দেশ্যই হল পত্রিকা ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা। এছাড়াও সাংবাদিক নামধারী কিছু ব্যক্তি আছে, তারা প্রথমে একজন ব্যক্তিকে তার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তারা ওই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গিয়ে তাকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেন। বর্তমানে নামধারী সাংবাদিকরা চাঁদা বাজির দোকান খুলে বসেছে। আমরা এই অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে, আমরা অনুরোধ জানাবো এ বিষয়টিকে আমলে নেওয়ার জন্য।