আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের শার্শায় নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কে অবৈধ মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে এবং নিহত গৃহবধুর স্বামী মিলন গোলদার ও তাদের শিশু কন্যা এবং মোটরসাইকেল চালক আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১ টার দিকে নাভারণ সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা মবিল ফ্যাক্টোরীর সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রিতা রাণী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের মিলন গোলদারের স্ত্রী এবং শার্শার গোড়পাড়া পোতাপুর গ্রামের কিনা মন্ডলের মেয়ে।
মিলন গোলদার (৩০)ও তাদের শিশু কন্যা প্রিয়া (২) এবং মোটরসাইকেল চালক শ্যামনগর উপজেলার গড়কুমারপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুছ সানার ছেলে আসমাতুল্লা (৩৫)।
প্রতাক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন নাভারণের দিকে যাচ্ছিলো এসময় মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দিলে তারা সকলে আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় একজন মারা যায় এবং অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মিলন গোলদার জানান, সকালে শ্যামনগর থেকে মোটরসাইকেল যোগে আমার শশুরবাড়ি শার্শার গোড়পাড়ায় যাচ্ছিলাম।পথিমধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা মবিল ফ্যাক্টরীর সামনে পৌছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর আমাদের চাপা দিলে আমরা ট্রাক্টরের চাকার তলায় চাপা পড়ি এ সময় আমার স্ত্রী মারা যায় এবং আমার ছোট মেয়েসহ আমরা আহত হলে স্থানীয় পথচারীরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মাটিবাহী গাড়ী। পুলিশ প্রশাসন দেখে ও না দেখার ভান ধরে থাকে। এই মাটিবাহী গাড়ী গুলো প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন কেঁড়ে নিচ্ছে তার পর কোন টনক নড়ছে না প্রশাসনের।
এলাকাবাসী আরও বলেন, নাভারণ হাইওয়ের পুলিশ প্রতিনিয়ত মহাসড়কে এবং গ্রাম গঞ্জের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল ধরে মামলা দেয় ও নানা রকম ভাবে হয়রানি করে কিন্তু তদের সামনে দিয়ে এই অবৈধ মাটিবাহী ট্রাক্টর গুলো দাপিয়ে বেড়ালেও এই গাড়ির বিরুদ্ধে তারা কোন পদক্ষেপ নেই না। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কিসের জোরে এই অবৈধ মাটি ভাই ট্রাক্টর রাস্তায় চলে? এই মরণঘাতী মাটিবাহী অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করতে এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নাভারণ হাইওয়ে থানার সাব ইন্সপেক্টর মফিজুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঘটনাটি ওসি স্যার জানার সাথে সাথে আমাকে সহ একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠালে আমরা এসে লাশ উদ্ধার করি এবং কোন মাটিবাহী ট্রাক্টর এর সাথে এ সংঘর্ষ হয়েছে সেটি খুজে বের করার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।