মুজাহিদ সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় যুবক কে মারধর করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী হাফেজ তরিকুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটে ১৫ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের মৃধাপাড়া উত্তর পারুলিয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের ভিতর।
আহত তরিকুল ইসলাম উত্তর পারুলিয়া মৃধাপাড়া গ্রামের মৃত্যু সাবুর আলী গাজীর ছেলে।
হামলাকারিরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল (৩৭), পিতা- আব্দুর গফুর, ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (৪২), পিতা- মৃত্যু আতিয়ার রহমান, ৩। সাহেব আলী মৃধা (৪০), পিতা- মৃত্যু দবির মৃধা, সর্বসাং- উত্তর পারুলিয়া, ৩নং ওয়ার্ড, ২নং পারুলিয়া ইউপি, থানা- দেবহাটা, জেলা- সাতক্ষীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন।
ভুক্তভোগী হাফেজ তরিকুল ইসলাম বলেন, বিবাদীগন এবং আমি একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ীর লোক হই। বিবাদীগন উশৃংখল, মারধরকারী, জোর জুলুমবাজ, মাদক সেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হয়। চুরি ডাকাতি করা তাহাদের পেশা ও নেশায়। তাহারা দীর্ঘদিন যাবত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত আছে। দেশের প্রচলিত আইন কানুন শালিস দরবার কিছুই মানেনা।
গায়ের জোর যখন যা খুশি তাই করে বসে। অপর দিকে আমি এলাকার নিরীহ শান্তি প্রিয় লোক হই। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর পারুলিয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের ভিতরে মাগরিবের নামাজ শেষে ইমাম কে মসজিদ থেকে বাদ দেওয়ার বিষয় নিয়ে একটি জরুরি মিটিং হচ্ছিল। মিটিংয়ে বিবাদীরা সহ আমি নিজে এবং মসজিদের কমিটির সদস্যগন ও অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলো। সকলের নিকট অনুমতি নিয়ে আমি ইমামের বিষয়ে ভালোভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলি। তখন উপস্থিত লোকজন আমাকে আর কথা না বলার জন্য বলিলে আমি সেখান থেকে উঠে চলে আসতে গেলে বিবাদীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে পিছন থেকে ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি লাথি মেরে জখম করে। আমি মার খেয়ে মসজিদের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ি। উপস্থিত লোকজন উদ্ধার করে স্হানীয় সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ১নং বিবাদী আমার পড়নের লুঙ্গির গোছায় ব্যবসার জন্য থাকা নগদ টাকা নিয়া যায়।
মোঃ রবিউল ইসলাম আমার গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।
সাহেব আলী মৃধা মুকুলের নির্দেশে কিল, ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে। আমি ডাক চিৎকার করিলে অভিযোগে বর্ণিত সাক্ষীগনসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিতে দেখিয়া বিবাদীগন এবং অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন আমাকে প্রকাশ্যে প্রাণে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার হুমকী ধমকী দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মুকুলের কাছে জানতে চাইলে সে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে কিনা জবাবে সে অস্বীকার করে।
অভিযুক্ত রবিউল কে মুঠো ফোনে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।
সাহেব আলী বলেন আপনি আমার চিনেন..? আমি মনির লোক। মনি আপনার একটু পরে ফোন দিচ্ছে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।