আল-হুদা মালী,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
পশ্চিম সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ভাসানো হয়েছিল। যার অধিকাংশ ক্যামেরা চুরি হয়েছে। তবে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ)এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী ক্যামেরা চুরি হওয়ার কথা স্বীকার করলেও সংখ্যার কথা জানতে চাইলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
বন বিভাগের তথ্য মতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাঘ গণনার কাজ, যা চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩ শত ৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। যার অধিকাংশ ক্যামেরা সুন্দরবনের চিহ্নিত হরিণ ও বাঘ শিকারি এবং চিহ্নিত কাঠ পাচারকারীরা চুরি করেছে বলে শ্যামনগরের সুধীমহল মন্তব্য করেছেন।
বর্তমান বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম চিহ্নিত্ব কতিপয় দালালের মাধ্যমে সুন্দরবন ধ্বংসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি ওই সমস্ত দালালদের মাধ্যমে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় নৌকা প্রবেশের জন্য মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি এক দালালের সহিত টাকা লেনদেনের বিষয়ে ফোন আলাপ রেকর্ডিং রয়েছে। ওই সমস্ত চোরারা এবং বাঘ ও হরিণ শিকারি চক্র এ ক্যামেরা চুরি করতে পারে বলে ধারণা করেছেন নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক উপকূলীয় কতিপয় ব্যক্তি।
সম্প্রতি মৃত বাঘের কঙ্কাল ও বাঘের চামড়া উদ্ধারের ঘটনার পর সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কয়েকটি এলাকায় জেলেদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের মধ্যে কোবাদক ও বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন দিয়ে যথারীতি জেলেদের সুন্দরবনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।