আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ষষ্ঠ পর্যায়ের
তৃতীয় ধাপে বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত এসে এমন শওকত হোসেন, অ্যাড. তামিম আহমেদ সোহাগ, গোলাম মোরশেদ, সুশান্ত মন্ডল ও জাতীয় পার্টির মো. মশিউর রহমান বাবু।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চার হেভিওয়েট প্রার্থীকে পেছনে ফেলে এরই মধ্যে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও ভোটারদের মন জয় করে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু। ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতায় মশিউর রহমান বাবুর ধারেকাছেও নেই প্রতিদ্বন্দ্বী চার হেভিওয়েট প্রার্থীর কেউ। এর ফলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে তরুণ রাজনীতিক বাবুই বিজয়ী হয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন বলে মনে করছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোটার ও বিশ্লেষকরা।
সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টি নেতা প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান হবির সুযোগ্য উত্তরসূরি ক্লিন ইমেজের মানুষ মশিউর রহমান বাবু গোটা অঞ্চলে মানবকল্যাণ ও জনসেবায় গত এক দশক ধরে বহুমুখী কর্মকাণ্ড করে আসছেন। তাঁর নানান উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
স্থানীয়রা জানান, এই উপজেলায় উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। গত কয়েক বছরে তেমন কোনো কাজই হয়নি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মশিউর রহমান বাবু বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মানবকল্যাণ ও জনসেবায় বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছি। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি সেটি হলো, মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা সদরের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আমার ওপর ভরসা করছে। তাই সাতক্ষীরা সদর উপজেলাকে নতুন করে সাজাতে আমি তৃণমূল থেকে কাজ করার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছি। হাজারো মানুষের ভালোবাসা আমাকে পথ চলতে সাহায্য করছে। মাঠে আছি, জনগণকে পাশে পাচ্ছি। তাই ভালো কিছুর প্রত্যাশাও রাখছি।
তিনি আরও বলেন, আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। আমার পিতা প্রায়ত সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেছেন। আমিও সেই পথ অনুসরন করে চলতে চাই।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করে যা প্রতিয়মান সেটা হলো প্রায় সকল ভোটারদের মুখে মুখে একটিই কথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪ জন প্রার্থী যখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তখন তারাই ভোট কাটাকাটি করতে করতে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থীর মশিউর রহমান বাবু’র জয়ের সম্ভাবনা বেশি।