রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে রায়পুর নিজদেবপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন ,বাবলু সভাপতি ,মজনু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত  কালিগঞ্জে রায়পুর নিজদেবপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন ,বাবলু সভাপতি ,মজনু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত মুন্সিগঞ্জে টঙ্গীবাড়িতে পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান  সুমন হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও পূন: তদন্তে প্রকৃত আসামীদের মুন্সীগঞ্জে আনমনা প্রাঙ্গণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ককে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ বাকসাপ কর্তৃক লেখক পুরস্কার-২০২৫ নির্বাচিত হলেন যারা আজ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সংবাদ কর্মীসহ আহত ৭ জন রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠে বিআরডিবি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম নওগাঁর মান্দায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম থানায় মামলা নিতে হয়রানের অভিযোগ

সালথায় চার বছরেও শেষ হয়নি ১৮ মাসের ভবনের নির্মাণকাজ

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফ‌রিদপুর) প্রতি‌নি‌ধিঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩
  • ২৩৭ বার পঠিত

 

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় চার বছর আগে শুরু হয়। দেড় বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কক্ষ-সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকেরাও বসার জায়গা পাচ্ছেন না।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফরিদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হলে ফরিদপুরের মেসার্স রিয়াজ কপোর্রেশন এন্ড গোলাম মনসুর জেভি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ১৮ মাস। সে হিসাবে ২২ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে অজুহাত দেখিয়ে গত ২০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়িয়েও নির্মাণাধীন চতুর্থ তলা ভবনের কাজ সম্র্পূন করতে পারেনি।

সম্প্রতি সরেজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন চতুর্থ তলা ভবন নির্মাণের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুরাতন ভবনের ৫টি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ফেলে। একারনে নিমার্ণাধীন ভবনের পাশে টিনশেডের জরাজীর্ণ একটি ভবনে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। নতুন নির্মাণাধীন চতুর্থ তলা ভবনটির তিনতলার ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। শৌচাগার নির্মাণ হয়নি। দেয়ালে পলেস্তারা লাগানো হয়নি। রুমের জানালা নেই, দরজা নেই, ফ্যান নেই, প্রচন্ড গরম, শ্রেণিকক্ষের অভাব ও জরাজীর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে।

এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ঝড়-বৃষ্টি হলে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। এ কারণে অধিকাংশ সময় নিয়মিত পাঠগ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া শৌচাগার নির্মাণ না হওয়ায় আমরা খুব বিপদে আছি। তাই দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।

মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক ফরহাদ হোসাইন ফাহিম বলেন, ‘আমরা যেভাবে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি তা একেবারেই অমানবিক। শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে।

মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মাহফুজুর রহমান বলেন, শুরু থেকেই ঠিকাদার বিরতি দিয়ে দিয়ে কাজ করছেন। আমরা ঠিকাদারকে দ্রুত ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বার বার অনুরোধ করছি, তাতে কোন লাভ হয়নি। বর্তমানে যেসব শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছে সেগুলো জরাজীর্ণ ও বেহাল অবস্থা। তাছাড়া শ্রেণিকক্ষ সংকটে গাদাগাদি করে একই কক্ষে অথবা খোলা আকাশের নিচে রোদ, বৃষ্টি, শীত উপেক্ষা করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এতে করে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কোনো ফল মেলেনি। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ভবন নির্মাণকাজে দেরি হচ্ছে। মাঝে মাঝে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক আসে, একটু আধটু কাজ করে চলে যায়। অনেকটা লোক দেখানোর মতো।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে যেসব শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছে সেগুলো জরাজীর্ণ ও বেহাল অবস্থা। তাছাড়া শ্রেণিকক্ষ সংকটে গাদাগাদি করে একই কক্ষে অথবা খোলা আকাশের নিচে রোদ, বৃষ্টি, শীত উপেক্ষা করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এতে করে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষকদের বসার কক্ষটির অবস্থাও খুবই নাজুক। উপরের টিন ফুটা হয়ে আছে, বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে বইপুস্তকসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সামনে ঝড়-তুফানের মৌসুম ঝড় শুরু হলে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে শিক্ষকদের বসার কক্ষটির।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ অনেক দিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কাজ শুরু করবে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে জানানো হয়।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়াজ কপোর্রেশন এন্ড গোলাম মনসুর জেভির স্বত্বাধিকারী মো. রিয়াজ হোসেন শান্ত তার গাফলতির কথা স্বীকার করে বলেন, আমার পারিবারিক একটু সমস্যার কারনে ও বরাদ্দ সংকটের থাকায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ফান্ডে টাকার সংকট থাকায় কাজের ধীরগতি হয়েছে। তারপরেও আমরা দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলেছি। কাজটি দ্রুত শেষ করাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।