আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
পড়ালেখার ইতি টেনে জীবিকার তাগিদে কয়েক বছর আগে ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানীর চাকরীতে যোগ দেন শাহ আলম (২৫)। বছর খানেক আগে করেন বিয়ে। তার স্ত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তসত্তা। আর মাত্র দেড় দুই মাস পরেও ফুটেফুটে ছেলে সন্তান দুনিয়ায় আগমন করবে, এই প্রতিক্ষায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অনাগত সন্তানের মূখ দেখার আগেই ডেঙ্গু জ¦রের ভয়ানক থাবায় অকালে পরপারে পাড়ি জমাতে হলো তাকে।
শাহ আলম ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের কাউলীকান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. সিরাজ মাতুব্বরের ছেলে। সোমবার (২১ আগস্ট) ভোর রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে শাহ আলম ছিল ছোট। তার পরিবারের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে শাহ আলমের এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকে ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) এনায়েত খান সাংবাদিকদের জানান, শাহ আলমের সঙ্গে এক বছর আগে আমার বোনের বিয়ে দেই। বর্তমানের আমার বোন ৮ মাসের অন্ত:সত্তা। শাহ আলম অত্যন্ত ভাল একজন মানুষ ছিল। চাকরী করতো ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানীতে। গত ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ছুটিতে বাড়িতে আসে। সেখান থেকে গত বুধবার গর্ভবতী স্ত্রীকে দেখতে আমাদের রাজবাড়ীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে সে স্বাভাবিক জ¦রে আক্রান্ত হন। প্রথমে জ¦ুরের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এতে কোন উন্নত না হওয়ায় শুক্রবার তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার পর তার ডেঙ্গু জ¦র ধরা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী হাসপাতালে শাহ আলমের অবস্থার অবনতি হলে রবিবার রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: এনামুল হক বলেন, আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শাহ আলম নামে কেউ মারা গেছে কি না, সে তথ্য এখনো পাইনি। তবে বর্তমানে হাসপাতালে ১০৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।