শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোড পুননির্মাণে সড়ক অবরোধে প্রস্তুতি সভা  চট্টগ্রামে সরকারি কলেজ অধ্যাপককে পিটালেন ছাত্রলীগ নেতা মোংলায় ব্র্যাকের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সমন্বয় সভা চারঘাটে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সমাপনী ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী শরীর ঠিক রাখতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবেঃ স্বাস্থ্য পরিচালক রামপালে সাম্প্রদায়িকতার বাষ্প ছড়ানোর অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আ’লীগের সংবাদ সম্মেলন  শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন এমপি আতাউল হক দোলন  বিসিক জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী নারী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য মজুদ আছে সাড়ে ৮ লাখ পশু

সালথায় প্রচন্ড তাপদাহে পাটের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩১ বার পঠিত

 

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

প্রচন্ড তাপদাহে সোনালী আঁশ পাট ও ধান টিকিয়ে রাখতে অনবরত জমিতে সেচ দিচ্ছে কৃষকেরা। প্রখর তাপে সেচের পরে দুদিনেই শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেত। তীব্র রোদ আর অসহনীয় গরমে হাঁশফাঁস করছে মানুষ। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পাটের গাছ বাড়ছে না তেমন। অপরদিকে যেসব ধানে ফুল আছে, এই রোদে সেসব ধানে চিটা হয়ে যাবে। তাই দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।

ফরিদপুরের সালথায় প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে সোনালী আঁশ পাটসহ জমির বিভিন্ন ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পানির অভাবে কৃষক ক্ষেতে সেচ দিতে পারছে না। এতে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তা আর দুর্ভোগে কৃষকরা। শুধু পাট আবাদ নয়, বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। চলতি মৌসুমে সালথায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর। বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহ ও রোদে জমির ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পাটচাষি ইব্রাহিম মোল্যা ও দবির মোল্যা জানান, প্রচন্ড গরমে জমিতে সেচ দেওয়ার পরেও ফসলের ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে কোন রস থাকছে না। সেচ দিতে খরচও বাড়ছে, আবার মাটি ভিজা থাকছে না। ঘন ঘন সেচ দিলেও পাটের গঠন কেমন জানি হলদে রংয়ে হয়ে যাচ্ছে। পাট বেড়ে উটছে না।

যুদুনন্দী ইউনিয়নের চাষি নাছির মাতুব্বর জানান, তিনি প্রায় দুই একর জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রচণ্ড রোদের কারণে পাটের গাছগুলো আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।কারণ দেনা হয়ে তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

অন্যান্য চাষিরা জানান, প্রচন্ড তাপে জমির ফসল জমিতেই শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম।আর কয়েক দিন খরা-দাবদাহ অব্যাহত থাকলে তাঁদের জমির পাটসহ বিভিন্ন সবজি একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।

সালথা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এ বছর উপজেলায় ১২ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কিন্তু তাপদাহে পাটগাছ শুকিয়ে না যায় সেজন্য প্রচুর পরিমাণ সেচ দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে কৃষকদের। তবে বৃষ্টি হলে এসব পাটের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও সেচ দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।