আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
১৬০০কেজি ওজনের ডন নামের গরুটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মন কেড়েছে। কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু মোটাতাজাকরণের পর হাটে নেওয়া হয়। বড় গরুকে নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা- কার গরু সবচে বড়, কার গরু দেখতে সুন্দর। এ বছর সে প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে চায় ফরিদপুরের ‘ডন’ নামের এ গরুটি।বিশাল আকৃতির গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দি গ্রামের রুবায়েত হোসেন দুই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনেন। তিনি গরুটিকে একটি ঘরের মধ্যে রেখেই লালন-পালন করেছেন। দুই বছরের মধ্যে এক দিনের জন্যও গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেননি। অর্থাৎ দুই বছর ধরে একটি ঘরের মধ্যেই ডনকে কোরবানির হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে ঘর ভেঙে ডনকে বাইরে আনা হয়। তখন ডনকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমান রুবায়েতের বাড়িতে। তাদের অনেকেরই দাবি, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচে বড় গরু এটি।
গরুর মালিক রুবায়েত হোসেন বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ফরিদপুরের ডন নামক গরুটিকে। আমি নিজে ঘাস চাষ করে গরুকে খাওয়াইছি। পাশাপাশি ছোলা, ভূষি এমনকি প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে। তিনি আরো বলেন, কুরবানী আসার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দরদাম করছেন ক্রেতারা। ২৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করা হবে। তবে আমার ইচ্ছা কুরবানীর হাটে নিয়ে ডনকে বিক্রি করা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচে বড় গরু হচ্ছে ‘ডন’। উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১২ ফিটের বেশি। প্রায় ১৬০০ কেজি ওজনের এ গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন মানুষ। তাদের মাঝে গরুটির দাম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, গো-খাদ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই গরু-ছাগল পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউবা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইনজেকশন দেন কিংবা ওষুধ খাওয়ান।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টিকে লালন পালনে সফল ব্যক্তি রুবায়েতকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হয়েছে।