মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হাসনা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূ গলার ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামে স্বামী নাজিম শেখের বসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ওই গৃহবধূ আত্নহত্যা করে। সে পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের নাজিম শেখের স্ত্রী ও কিশোরগঞ্জ জেলার মজনু মিয়ার মেয়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার মজনু মিয়ার মেয়ে হাসনা বেগমের সাথে পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের নাজিম শেখের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে ৪ বছর পূর্বে ইসলামিক শরিয়াত মোতাবেক তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হযন। বিয়ের পর থেকে তাদের দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে স্বামী নাজিম শেখের সাথে তার স্ত্রী হাসনা বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে হাসনা বেগমকে তার বসত ঘরে রেখে স্বামী নাজিম শেখ তার ভাইয়ের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরেন। প্রতিদিনের ন্যায় সকালে নাজিম শেখ ঘুম থেকে উঠে কাজে চলে গেলে সকাল ৮ টার দিকে লোকমূখে জানতে পারেন স্ত্রী হাসনা বেগম ঘরে আড়ার সাথে ফাস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে এবং ঘরে লাশ ঝুলছে। পরে নাজিম শেখ বাড়িতে এসে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যপারে সিরাজদিখান থানার ওসি একেএম মিজানুর হক জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।