মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বসত বাড়ির বিল্ডিংয়ের ছাদ খষে পরে ১০ম শ্রেণী পড়ুুয়া জান্নাতুল ফেরদৌস (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোড় অনুমান সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের জনৈক আবুল সরকারের মালিকানা পুরাতন দ্বিতল বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর মোল্লা (৩৫) বসত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় ওই কিশোরী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।
পরে গুরুত্বর আহত কিশোরী জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত কিশোরীর জখম গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মির্ডফোর্ড) ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে তাকে বাড়িতে এনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। স্থানীরা জানায়, উপজেলার পুর্ব রাজদিয়া গ্রামের আবুল সরকার ব্যবসা বানিজ্যের সুুবাদে ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি তার একতলা পুরাতন নড়বরে বিল্ডিয়ের উপর আরো একতলা তুলে ভাড়া দিয়েছেন। আবুল সরকার পুরাতন নড়বরে বসবাসের অযোগ্য বিল্ডিংয়ের কক্ষ ভাড়া দিয়ে ভাড়াটিয়াদের জীবন হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মর্মে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্কুল ছাত্রীর পিতা ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ছাদের ভাঙা অংশ খষে ভেঙে পরার শব্দ পাই। রুমের সামনে গিয়ে দাড়াতেই আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দরজা খুলে দিয়ে পরে যায়। হাসপাতাল নেওয়ার পর মাথার দুপাশে ও ঘারে শেলাই করা হয়েছে। এখন খানিক সুস্থ্য হলেও শঙ্কামুক্ত নয়। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বাড়ির মালিক দিবে। আমার কোন অভিযোগ নাই।
বসত বিল্ডিংয়ের মালিক আবুল সরকার মুঠোফোনে বলেন, এটা একটা দূর্ঘটনা। আমি ভাড়াটিয়াদের ৫ মাস আগে ছেড়ে চলে যেতে বলেছি। তারা তাদের বাড়ি বানাচ্ছে তাই যায় নি। আহত মেয়েটির চিকিৎসা যাবতীয় আমি বহন করবো৷