মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বয়রাগাদী (বাবুর বাড়ী) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় উভয় পক্ষ একে অপর পক্ষকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে উভয় পক্ষের কেউ আহত হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের লিজকৃত ৭ একর সম্পত্তি থেকে ইউনিয়নের গোবরদী মৌজাস্থিত আর,এস ৩৬২,৩৫৯,৩৬৬,৩৬৭ ও ৩৬৮ নং দাগের মোট ১ একর ৩৬ শতাংস সম্পত্তি ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাজী মনির হোসেন তার নিজের মালিকানা দাবী করে রাষ্ট্রকে বিবাদী করে আদালকে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার প্রেক্ষিতে বাদী এবং রাষ্ট্রপক্ষ বিবাবী তথা বিদ্যালয় পক্ষকে বিবাদমান সম্পত্তিতে প্রবেশ, স্থায়ী পরিবর্তন, অবকাঠামো পরিবর্তন ও সম্পত্তির গাছাপালা কর্তনসহ কোন রূপ পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
কিন্তু বয়াগাদী ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হোসেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উক্ত সম্পত্তিতে স্থায়ী বিল্ডিং তুলছেন মর্মে অভিযোগ করেন একই সম্পত্তির পশ্চিমে বসবাসরত বয়রাগাদী গ্রামের মৃত আলী চৌকিদারের ছেলে ইউসুফ শেখ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ১৮ বছর ধরে এ সম্পত্তিতে বসবাস করছি। এখানে ৮ বছর আগে উঠানো ঘর আজকে আমরা মেরামত করছিলাম। হঠাৎ করে মেম্বার মনির কাজী এসে আমাকে কাজ করতে নিষেধ করে। পরে এক পর্যায়ে মনির কাজী আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমার বাড়ীর মহিলা দের মারধর করে। আমার স্ত্রী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। মনির কাজী লিজের যায়গা নিজের দাবী করে আমাদের উপর হামলা করছে।
আমরা এর বিচার চাই। এদিকে অপর অভিযোগের বাদী বযরাগাদী ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাজী মনির বলেন, এ সম্পত্তি আমার আমার। এটা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। ইউসুফ আমার সম্পত্তিতে জোর পূর্বক ঘর তুলতে গেলে আমরা বাধা দেই। বাধা দিতে গেলে সে আমাদের উপর হামলা চালায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ওকে থাকার কোন অনুমতি দেয় নাই। আমি এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ করেছি।এবিষয়ে বয়রাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমি বিদ্যালয়ের পক্ষে। আমি জানার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহোদয়ের কাছে জানিয়েছি। তারা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। আমি ন্যায়ের পক্ষে বিদ্যালয়ের পক্ষে। এব্যপারে সিরাজদিখান থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।