শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

সিরাজদিখানে মজুদ কৃত আলু নিয়ে বিপাকে কৃষক!   

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২৫ বার পঠিত

মুন্সীগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ১০ টি হিমাগারে গত বছরের প্রায় ৫৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫শ বস্তা আলু এখনো বিক্রি হয়নি। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন সিরাজদিখানের প্রায় ১০ হাজার আলু চাষী ও মজুদকারী। গত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে দুই দফায় আলুর বীজ বপন করায় কৃষকের উৎপাদন খরচ পড়েছে অনেক বেশি। তাই খরচ পুষিয়ে নিতে অনেক কৃষক হিমাগার গুলোতে আলু মজুদ করেন। কিন্তু আলুর দাম পাইকারি বাজারে বাড়েনি। এতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১০ টি হিমাগারে সংরক্ষিত আলু নিয়ে এখন কৃষক বিপাকে পড়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বস্তা (৫০কেজী)আলু উৎপাদন করতে কৃষকের প্রায় ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকা খরচ হলেও চলতি নভেম্ভর তা বস্তা প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭শ টাকা দরে। এতে বস্তা প্রতি লোকসান হচ্ছে ৩ শ থেকে ৪ শ টাকা। বর্তমানে উপজেলার ১০ টি হিমাগারে ৫৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫শ বস্তা আলু মজুত রয়েছে যা আলু চাষীদের ক্ষতির পরিমান ক্ষতির পরিমান প্রায় ২২ কোটি টাকা। কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গেলো মৌসুমে এ উপজেলায় ৯ হাজার ১ শ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। উৎপাদন হয়েছিল ২ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। বেশি দামের আশায় কৃষক বেশির ভাগ আলু হিমাগারগুলোতে মজুদ করেছিলেন। উপজেলার সম্রাট কোল্ডস্টোরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কোল্ডস্টোরেজের ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ৯০ হাজার বস্তা। এ পর্যন্ত ৬১ হাজার বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে। এখনও ১ লাখ ৩৫ হাজার বস্তা আলু রয়ে গেছে।সিরাজদিখান উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো.আবু সাইদ শুভ্র বলেন,বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় জেলাতেই আলু চাষ হয়,সিরাজদিখানে চাহিদা অনুযায়ী আলু উৎপাদন বেশী হয় যে কারনে কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে না । সিরাজদিখানের আলু চাষীদের প্রতি আমাদের পরামর্শ হলো তারা যেন আলুর পরিবর্তে সর্ষে ও ভুট্রা চাষ করে তাহলে তেলের ঘাটতি ও কিছুটা কমে যাবে ।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।