জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ শেখ হাসিনা সারাদেশে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে আরো ২৬ হাজার ২২৯টি জমি সহ ঘর হস্তান্তর করেছেন।
‘দেশে একজন মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবেনা’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এর মাধ্যমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৫ জন মানুষ নিজের ঠিকানা পেল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি দেশের ৫২টি উপজেলায় এই ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির আওতায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র ৫১০ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর ঘর। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তক ২৬ হাজার ২২৯ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধনের পর সুন্দরগঞ্জে সুবিধাভোগীদের মাঝে জমি ও গৃহের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা অডিটরিয়াম হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ-আল-মারুফের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আল হাসান,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিফ মন্ডল,উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফিন খান,তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক বাবলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল মান্নান, সুৃবিধাভোগী মেরিনা বেগম, আমেনা বেগম ও সুজন মিয়া প্রমূখ। বক্তারা জমি নির্ধারণ ও গৃহ নির্মাণ কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রশংসা করেন। শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং অতিথিবৃন্দ সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের মাঝে দুই শতক জমি ও গৃহের কাগজপত্র হস্তান্তর করেন।
এদিকে ঘর পেয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরী গ্রামের আমিনা খাতুন বলেন, আমাদের ঘর ছিলনা ঘর পাইছি এজন্য হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের মতো অসহায় সসম্বলহীন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িছেন। এখন আর অন্যের বাড়িতে রাত কাটাতে হবেনা। এখন নিজের বাড়িতেই শান্তিতে ঘুমোতে পারব।
কথা হয় কাপাশিয়া ইউনিয়নের উপকারভোগী লিটনসহ আরো অনেকের সাথে। তারাও ঘর পেয়ে অনেক খুশি। তারা বলেন, অনেক কিছু সাহায্য পাইছি, কিন্তু টাকা পয়সা ছাড়া সরকার থেকে ঘর পাব এমন আশা কখনও করিনী। এজন্য আল্লাহর কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।