ওমর ফারুক রনি,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সুন্দরগঞ্জ ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন থেকে বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা যায়, অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম ২০১৫ সালে অত্র কলেজে যোগদানের পর অর্থনৈতিক বিভাগের প্রভাষক এহেতেশামুল হক ডাকুয়ার বেতন ভাতা বন্ধ করেন। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তার বেতন ভাতা চলমান থাকলেও অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ০৭ (সাত) বছর থেকে তার বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। আবার নতুন করে ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী ০৭ মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এছাড়াও তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সকল শিক্ষক-কর্মচারী ০৫ মাস ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কলেজটিতে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি চাচা, সহোদর বড় ভাইকে নীতিবহির্ভুতভাবে গভর্নিং বডির সভাপতি করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, উৎকোচের বিনিময়ে পদোন্নতি প্রদানসহ, বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অধ্যক্ষের বেতন ভাতা স্থগিত করেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে পত্র প্রদান করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ সুকৌশলে বিষয়টি গোপন করে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তারিখে সভাপতিকে অবগত করেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মারুফ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যক্ষকে বেতন ভাতা প্রদানের লিখিত নির্দেশ দেন। সভাপতির নির্দেশের পরেও অধ্যক্ষ নিয়মমাফিক বিল দাখিল না করায় শিক্ষক-কর্মাচারীদের বেতন ভাতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেতন ভাতা না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বেতন বন্ধের বিষয়ে অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- আমি শীঘ্রই বেতন ভাতা দাখিল করব।
প্রভাষক মিজানুর রহমান বার্তা বাজরকে বলেন, অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে বার্তাবাজারসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সভাপতি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, অধ্যক্ষকে নিয়ম অনুযায়ী বেতন ভাতা দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।