জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ চলতি রোপা আমন মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কৃষক পর্যায়ে সঠিকভাবে সার বিতরণ করতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির নিজে সার বিতরণ মনিটরিং ব্যবস্থা তদারকি করছেন।ইতিমধ্যে তিনি সকল উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণকে রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে দোকান মনিটরিং এর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,রোপা আমন মৌসুমে কৃষকের সারের চাহিদা মেটাতে সেপ্টেম্বর মাসে ইউরিয়া মোট বরাদ্দ ১০২৭ টন(২০৫৪০ বস্তা)আছে যা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলারের মধ্যে এই সার এখনো বিতরণ চলমান রয়েছে।এতে করে কৃষকদের সারের সংকট আর থাকবে না।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, জানান,কৃষি অফিসারের নির্দেশে তারা নিয়মিত বিসিআইসি এবং খুচরা বিক্রেতার দোকানগুলো নজরদারী করছেন।রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে তারা এটি করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন,প্রতিটি কৃষক যেন খুব সহজেই তার চাহিদামত সার পায় সেইজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।তাছাড়া জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সীদ্ধান্ত মোতাবেক সকল বিক্রেতার দোকানে দৃশ্যমান জায়গায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্যাশ ম্যামোর মাধ্যমে বিক্রি, স্টক ও বিতরণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধকরণ সহ কৃষকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহে রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিয়মিত ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে অনিয়মকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কোথাও কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার রাসায়নিক সার সহ সকল কৃষি উপকরণ যথাসময়ে এবং ন্যয্য মূল্যে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছাতে বদ্ধপরিকর। সার বিপননে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে ডিলারশিপ বাতিল সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।কোথাও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সুস্পষ্ট অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।