আরিফুল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ ৫০ বছরও একটি সেতু তৈরি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে লালমনিরহাটে জেলার কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তাদের অভিযোগ সাংবাদিকরা এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়, বারবার মাপজোক হয় কিন্তু সেতু হয় না।
লালমনিরহাটের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের একটি সর্পিলাকার নদীটির নাম রত্বনাই। এটির কিছু অংশের অবস্থান সদর উপজেলার কুলাঘাটে ইউনিয়নের সরেয়ারতল এলাকায়। নদীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে রয়েছে, শিবের কোটি, বনগ্রাম, ভাটি বাড়ি বোয়ালমারী, কোদালখাতা, ধাইর খাতা সাপটানা সহ কয়েটি এলাকা। এসব এলাকার প্রায় ২০ হাজারের বেশী মানুষ চলা ফেরা করে এই পথে। বর্ষাকালে তাদের একমাত্র ভরসা নৌকাও কলাগাছের ভেলা হলেও শুকনো মৌসুমে বাশের সাঁকো। এককথায় ভোগান্তিতে কাটে সারা বছর। ভোগান্তি নিরসনে স্থানীয়দের একটাই দাবি রত্নান নদীতে সেতু চাই।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা জানান, নদীর উভয় পাশে ফসল উৎপাদন অনেক ভালো হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অস্বাভাবিক থাকার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। সেগুলো বাজারে সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারি না। আমরা যারা সুস্থ সবল মানুষ আছি তাদের জন্য সমস্যা কম হলেও অসুস্থ, বৃদ্ধ মানুষেদের দ্রুত সময়ে হাসাপতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেকই সময় রাস্তায় ডেলীভারী হতে গিয়ে মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যুও হয়েছে। সেই ছোট বেলা থেকে শুনতে শুনতে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ছি ব্রীজ হয় হয় করেও হচ্ছে না। ব্রীজ না থাকায় আমাদের হাটবাজার যাওয়া, আত্বীয় সজনদের বাসা যাওয়া অনেক কষ্ট হচ্ছে। সেতুটি নিয়ে অনেক সাংবাদিক সংবাদ করলো, অনেকই মাপজোক করলো কিন্তু আজ পর্যন্ত সেতুর কাজ শুরু হলো না। সেতু না থাকায় আমাদের কাজে যেতে সমস্যা হয় দেড়িতে যাওয়ায় অনেক সময় আমাদের কাজেই নেয় না লোকজন।
সাবেক ইউপি সদস্য জানান, ১৫-২০ হাজার মানুষ এই পথে চলাফেরা করে, আমরা অনেকবার চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংসদ সদস্যর কাছে ধরনা দিয়েছি তারা বলছেন এটি নির্বাহী প্রকোশলী অধিদফতরের কাজ। সরকার অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ করেছে আমাদের জন্য সামান্য একটু দৃষ্টি দিলেই সেতুটি নির্মান হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডল জানান, যেহেতু কোটি টাকার কাজ সেজন্য আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামর্থ্য নেই, তাই জেলা পরিষদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসলে সেতুটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।