নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসন সেনবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের কাঁচি মার্কার সমর্থক ফয়েজউল্ল্যা ভুঁইয়া মিষ্টার মেম্বারের কার্যালয়ে গুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নের পূর্ব কাজীরখিল মিঝি পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়েজউল্ল্যা ভুঁইয়া মিস্টার জানান, কার্যালয়টি তার ব্যক্তিগত, তিনি কাঁচি মার্কার সমর্থক হিসেবে কার্যালয়ে পোষ্টার লাগিয়ে এখান থেকে কাঁচি মার্কার নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কার্যালয় বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পর খবর পান তার অফিসের সামনে একদল দুর্বৃত্ত হানা দিয়ে প্রথমে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে পেট্রল ঢেলে কার্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে চেয়ার টেবিলসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার জন্য কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের নৌকা মার্কার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে এবং আমার ভোটারদেরকে ভয়ভীতি দেখাতে এমপি মোরশেদ আলম তার হেলমেট বাহিনী দিয়ে এসব করছেন। তবে আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হামলা গুলি অগ্নিসংযোগ করে এবার কাঁচি মার্কার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কাঁচি মার্কার লোকজন বৃহস্পতিবার ভোরে কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর খলিফা তোলা এলাকায় আমার নৌকা মার্কার নির্বাচনি কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে।
হামলা ও আগুনের সতত্যা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। নির্বাচনের মুহূর্তে এসব ঘটনা স্পর্শকাতর, তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।