লেখক ও কবি, রফিকুল ইসলাম ভুলুঃ
স্বাধীনতা আমার বিষন্নতার মাঝে অসহায়ত্বের মতো
আজ ঘুরে ফিরছে সকলের দ্বারে দ্বারে।
স্বাধীনতা ভাবছে কেউ কি পারবে
তার অস্তিত্বকে রাখতে ধরে?
হায়েনার দল ওরা থামেনি
থামবেও না কোনো দিন
রক্ত ঝরাচ্ছে অহরহ
সবুজ শ্যামল এই বাংলার মানচিত্রে।
তাই স্বাধীনতা কাঁদছে নিরব আঁধারে।
এই স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালে
লক্ষ প্রাণের তাজা রক্ত আর হাজারো মা-বোনের
সম্ভ্রম নিয়েছিলো কেড়ে যারা
আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশে
ক্ষমতার মসনদে বসেছে তারা।
শুধু সময়ের অপেক্ষায়, সুযোগ পেলে
সবুজ বাংলার রক্তমাখা ঐ লাল সবুজের
বিজয় পতাকাটি সরিয়ে দিবে ওরা।
তাই স্বাধীনতা আজ তার ঐ লজ্জা মাখা মুখটি নিয়ে ভাবছে
কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কুল কিনারা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
স্বাধীনতা ভাবছে কোথায় আজ
বীর উত্তম আর বীর বিক্রম?
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার অনুসারীরা?
কেউ কি বেঁচে নেই?
নাকি সকলেই আখের গুছাচ্ছে?
অথবা ভয়ে কাতর হয়ে
মাথাটিনত করে দিচ্ছে
ঐ হায়ানাদের কাছে?
না – না – না, ওহে স্বাধীনতা
তুমি তা কখনও মনে করোনা।
আমরা আজও বেঁচে আছি
মাথাও নতো করিনি
ঐ হায়ানাদের কাছে।
তাই ভয় নেই তোমার, ভয় নেই
নির্ভয়ে-নিশ্চিন্তে, অবাধে বিচরণ করার-
অধিকার রয়েছে তোমার এই বাংলার বুকে।
আমরা কাপুরুষ নই, ভীতুও নই
বীরের এ জাতি সংগ্রহ করতে জানে
লড়াই করতে জানে এবং জীবনও দিতে পারে,
যেমনটি দিয়েছে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্যে।
প্রয়োজন আবারো রক্ত দিবে তবুও এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে
আর এই স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নে
লক্ষ জনতা আবারও বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলবে।
হে স্বাধীনতা তুমি আছো, তুমি থাকবে
লাল সবুজের ঐ বিজয় পতাকা উড়ছে, উড়বে
বাংলাদেশ আমার রয়েছে বিশ্ব মানচিত্রে।
তাই সোনার বাংলা এক না একদিন
মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে-
এই পৃথিবীর সুউচ্চ মর্যাদার আসরে।
শুধু সেই দিনটির জন্য কাজ করো সকলে।