স্বামীকে হারিয়ে স্তব স্ত্রী,প্রতিবন্ধী বোন ভাইয়ের অপেক্ষায়, বাকরুদ্ধ বাবা মা, সন্ধান মিলেনি ফায়ার ফাইটার ফরিদুজ্জামানের।
জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ মাত্র নয় মাস আগে ফায়ার কর্মী ফরিদুজ্জামান (২২)বিয়ে করেন। স্ত্রীকে বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে রেখে যোগ দেন সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার সময় সহকর্মীদের সঙ্গে সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনিও। কিন্তু দুর্ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি ফরিদুজ্জামানের।
এদিকে, স্বামীর শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন ফরিদুজ্জামানের স্ত্রী ইসামণি। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। কিছুক্ষণ পরপর 'মোর স্বামীধনোক আনি দেও’- বলে বিলাপ করছেন আর মুর্ছা যাচ্ছেন তিনি.আর আল্লাহ কাছে বলছে আমার স্বামী সহ যারা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সবাই তুমি ভালো রেখো আল্লা।
প্রতিবন্ধী বোন সাদিয়া ভাইয়ের ছবি বুকে ধরে আজও রয়েছে ভাইয়ের বাড়ি ফেরার আশায়। এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা মা আজ দিশেহারা।
[caption id="attachment_8609" align="alignnone" width="300"] ফরিদুজ্জামান রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের ইমাদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আদারহাট এলাকার রিকশাচালক সাইফুল ইসলামের ছেলে। ৯ মাস আগে তিনি সীতাকুন্ডে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন।[/caption]
ফরিদুজ্জামানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,শনিবার রাতে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সহকর্মীদের সাথে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে যান ফরিদুজ্জামান। তার পর থেকে তার খোঁজ পাননি সহকর্মীরা। ফরিদুজ্জামানের খোঁজে তার বাবা সাইফুল ইসলাম ও মা ফুলমতি সীতাকুণ্ডে থেকে ফিরে এসেছে খালি হাতে পায়নি ফরিদুজ্জামানের লাশটিও।
[caption id="attachment_8611" align="alignnone" width="300"] ফরিদুজ্জামানের চাচা আমান সরকার জানান, ২২ মাস আগে ফরিদুজ্জামান বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন। প্রথমে খুলনায় ট্রেনিং নেন। এরপর সীতাকুন্ডে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে বদলি হন। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ছিলেন। তিনদিন পেরিয়ে গেছে এখনো খোজ মিলেনি তার, এখন তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটা তারা জানেন না।[/caption]
[caption id="attachment_8612" align="alignnone" width="300"] এদিকে ফরিদুজাম্মানের প্রতিবেশি ও বন্ধুরা বলেন,ফরিদুজ্জামান খুবই ভালো ছেলে ও মেধাবী ছাত্র ছিল। বাবা মায়ের কষ্ট দুর করতে অনেক কষ্টে চাকরিটা পেয়েছিল কিন্ত আল্লাহ্ এটা কি করল। আমরা শোকাহত। আমরা আমাদের গ্রামের একটি রত্নকে হারালাম। আল্লাহ যেন তাকে পরপারে ভালো রাখেন।[/caption]
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।