মোঃ শফিকুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর গার্লস হাইস্কুলের পড়তো জেনিফার এলি। ১০ই মে রংপুরের কালেক্টরেট মাঠে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বান্ধবী ইয়াসমিনের সঙ্গে গিয়েছিলো এলিও। ভাষণ শেষে এলি বান্ধবী ইয়াসমিনকে বললো, ইশ যদি একবার দেখতে পারতাম।
দিনটি ১১টি মে।
পরদিন তাঁদের সকালের শিফটে স্কুল। স্কুলে গিয়ে এলি শুনলো, বঙ্গবন্ধু তখনো রংপুরেই আছেন। সার্কিট হাউসে শুনেই এলি বেশ কয়েকজনকে নিয়ে ছুটলো সার্কিট হাউসের দিকে। কিন্তু সবাই মনে মনে ভাবছে বোধহয় আর ঢুকতে দিবেনা।
ঠিক তাই। সার্কিট হাউজে ঢুকতেই বাধা দিলো পুলিশেরা। এমন সময় এলি ভাবলো এসেছি যেহেতু না দেখে তে আর ফেরা যাবেনা। তাই দেয়াল টপকে ভিতরে ঢুকতেই একজন এসে জিজ্ঞেস করল, 'এই, তোমরা এখানে কী করছ?'
এলি বললো, আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখতে চাই।
দেখি যাও যাও এখন বাড়ি যাও৷ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বললেই বঙ্গবন্ধু ভিতর থেকে কথাটি শুনতে পেলেন। তিনি সবাইকে ডেকে পাঠালেন। রুমে তখন অনেক লোক। বঙ্গবন্ধু বললেন, 'কী চাও তোমরা?'
এলি বলল, 'বঙ্গবন্ধুকে দেখতে চাই।'
বঙ্গবন্ধু মজা করে বললেন, 'বঙ্গবন্ধু! কে বঙ্গবন্ধু?'
এলি হেসে বললো, 'আপনিই তো বঙ্গবন্ধু। আমি আপনার অটোগ্রাফ নেব।'
কিন্তু এলির সঙ্গে কোন কাগজ আনেননি। আর তাই বঙ্গবন্ধু শেষমেয় এলির ডান হাতে নিজের নামের স্বাক্ষর দিয়ে অটোগ্রাফ দিলেন। মাথায় ও হাত বুলিয়ে দিলেন।
সেদিনই বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরবেন। সার্কিট হাউসের করিডর দিয়ে হেঁটে বের হচ্ছেন যখন বঙ্গবন্ধু। তকন
এলি আবার দেয়ালের ওপরে উঠে গিয়ে স্লোগান দেয়া শুরু করলো।
এলি স্লোগান দিতে দিতে ঘেমে গিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু করিডরে দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে সবাইকে থামালেন। হাতে থাকা ফুলের তোড়া থেকে একটি ফুল এলিকে দিলেন। এলির মাথায় হাত রেখে আদর দিয়ে বললেন, ‘তুই ঘেমে গেছিস তো, এইবার থাম। হয়েছে, হয়েছে।’ কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেদের বললেন, ‘তোরা তো পারলি না, ওর সঙ্গে তোরা পারলি না।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।