কামরুজ্জামান শিমুল,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সুতালড়ি (ভাসান্দা) গ্রামের মৃত সত্তার বয়াতির ছেলে কবির বয়াতিকে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা বারোটায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২২ মামলার আসামি কবির বয়াতির বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন ও কবির বয়াতির স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মর্জিনা বেগম বলেন, তার পিতা৭০-৮০ বিঘা সম্পত্তি রেখে মৃত বরণ করেন। সেই জমির মধ্যে হতে কিছু জমি নিয়ে বারুইখালী ইউপি সদস্য গাউসুল হক দুলালের সাথে তাদের বিরোধ চলছে। দুলাল তার লোকজন নিয়ে কয়েকবার তাদের পরিবারের উপর হামলা করেছে। তার ভাই কবির বয়াতিকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। জেলে থাকা অবস্থায় তার ভাইকে গরু চুরি মামলায় আসামি করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর তাকে ডাকাতি মামলায় আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার ভাই কবির বয়াতিকে সমাজে ঘৃণিত ডাকাত হিসাবে পরিচয় করানো হয়েছে। প্রতিপক্ষ ও প্রশাসনের যোগ সাজসে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে ১০ টি মিথ্যা মামলায় সে খালাস পেয়েছে। প্রতিপক্ষরা তার স্ত্রীর নামেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সর্বস্ব হারিয়ে তার স্ত্রী ৪ সন্তানকে নিয়ে বিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছে। তারা আমার মুক্তিযোদ্ধা স্বামী ও আমাকে মারধর করেছে। মোড়েলগঞ্জ থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে প্রশাসন আমলে নেয়না। তিনি মিথ্যা মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ ই ডিসেম্বর গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (ডিবির ওসি) সুরেশচন্দ্র হালদার এর নেতৃত্বে একটি টিম কবির বয়াতিকে জেলা সদরের ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া এলাকার ঝাউগাছ তলার পাশে ওয়াপদা রাস্তার উপর থেকে আটক করে বলে বাগেরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সে ওই সময় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় তার কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ২ টি রাম দা, হাসুয়া, লোহা কার্টার, স্যালাই রেঞ্জ, টিপ চাকু, লোহার রড, মোটা রশি, হাতুড়ি, কালো মানকি টুপি এবং একটি প্লাষ্টিক বস্তা উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি সে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিলো বলেও জানায় পুলিশ।