নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য জেলা, উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ, চর অঞ্চল, নদী পরিবেষ্টিত দুর্গম এলাকা বিবেচনায় ২ হাজার ৯৬৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের আগের দিন নির্বাচনি মালামালসহ ব্যালট পেপার পাঠানোরা বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সব রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। ইসি আরও জানায়, বাকি ৩৯ হাজার ৬১টি কেন্দ্রে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। মূলত আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ভোটের দিন সকালে তা কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন ইসি। নির্দেশনাগুলো হলো— ভোটের আগের দিন প্রিজাইডিং অফিসার ব্যালট পেপার ছাড়াই নির্বাচনি মালামাল, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। তবে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালটপেপার গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। ভোটগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট হতে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সঙ্গে সকাল ৬টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট হস্তান্তর করবেন। ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার বিতরণের সময় যত দূর সম্ভব পর্যাপ্ত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের উপস্থিতিতে ব্যালট পেপার হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পরিবহনের বিষয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।