আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে লোকালয়ে এবং বসতঘরের ৩০ ফুট পাশ থেকে ভূ-গর্ভের বালি ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী সম্ভাব্য ভূমি ধ্বসের শঙ্কায় রয়েছে। প্রকাশ্যে সড়কের পাশে দীর্ঘ ২ মাস যাবৎ অবৈধ বালি উত্তোলন করে পুকুর ভরাটের কাজ চললেও কোন প্রতিকার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ইউনিয়নের চেচুয়া গ্রামের আঃ বারী সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন ২০/২৫ বছর পূর্বে থেকে ভিটে বাড়িতে ঘর বেধে বসবাস করে আসছেন। সেখানে ভিটেবাড়িতে পাকা বসতঘর, রান্না ঘর, কাঠ ঘর, পায়খানা ঘর, পুকুর, নারিকেল গাছসহ অসংখ্য গাছগাছালী রয়েছে। চেচুয়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলি গাজীর ছেলে কুখ্যাত বালু দসু্য আঃ রহিম তার ড্রেজার মেশিন দিয়ে ইসমাইল সরদারের বাড়ির পাশে এড. শম্ভু সিংহ’র জমির পূর্ব পাশ থেকে ২ মাস পূর্ব হতে ভূ -গর্ভের বালি উত্তোলন শুরম্ন করেন। রফিকুল ও আবু সাইদ ঐ বালি কিনে নিয়ে মেইন সড়কের পাশে পুকুর ভরাট করেন। এবং ডিসি সাহেবের অনুমতি নিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে বলে আস্ফালন করেন। ভূগর্ভের বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ হলেও দীর্ঘ দুই মাস অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
গত শুক্রবার আব্দুর রহিম তার ড্রেজার মেশিন ইসমাইলের বসতঘরের মাত্র ৩০ ফুট দূরে এবং ভিটে বাড়ির সীমানার মাত্র ৫ হাত দূরে বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। প্রতিবাদ করলেও তারা থামেনি বরং তাদেরকে (ইসমাইল) নানা ভাবে হুমকী ধামকী দেওয়া হয়। এভাবে সরকারি বিধি নিষেধ ও আইনকে অমান্য করে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন প্রতিরোধ না করা হলে বালি উত্তোলনের প্রতিযোগিতা শুরম্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চরম ক্ষতির মুখে থাকা ইসমাইল তার বসতবাড়ি ও এলাকাবসীর ক্ষতির মুখে ফেলে ভূ-গর্ভের বালি উত্তোলন রোধে প্রশাসনের হস্ত্মক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে আনুলিয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, বালি উত্তোলন করা হচ্ছে শুনেছি। এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান বলেন, আমি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।
এলাকাবাসীর দাবী এভাবে একের পর এক বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভের বালি উত্তোলন করে এলাকাকে চরম ঝুঁকিতে ফেলানো হচ্ছে। তাদের বিরম্নদ্ধে সরবারি বিধি মোতাবেক শাস্ত্মির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোথাও না হয় সেজন্য মেশিনের মালিক, জমির মালিক ও বালু ব্যবহারকারীদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।