মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
১৪ ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি কে কেন্দ্র করে তরুণ তরুণীদের মধ্যে আনন্দ -উচ্ছ্বাসের সমারোহ। দিবসটি ঘিরে বিচিত্র কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। দিন – রাতভর চলে এই সব আয়োজনের ঝলকানি। এই দিবসে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি ব্যাপক ভাবে সয়লাব। বাঙ্গালী জাতি হিসেবে দেশের অনেক বাঙ্গালী সংস্কৃতি বা জাতিগত যে বাঙ্গালী দিবস আছে সেই বিষয়ে অবগত থাকে না তাদের। অথচ পশ্চিমাদের বিশ্ব ভালবাসা দিবস নামক অপসংস্কৃতি খুব ভালভাবেই উদযাপন করে থাকে যা বাঙ্গালী হিসেবে আমরা লজ্জিত। আমরা বাঙ্গালী হিসেবে ৩৬৫ দিনই ভালবাসার। অথচ পশ্চিমাদের আগ্রাসনে আমরা কেবল এই ১৪ ফেব্রুয়ারি কে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রেখে বাকি দিনগুলো ভালবাসাহীন করে রাখার অপকৌশল করে যাচ্ছি। ভালবাসা দিবস আসলেই আমরা হিতাহিত জ্ঞানশুন্যে হয়ে ছুটতে থাকি উন্মাদনা বা বেহায়াপনার দিকে। অথচ আমরা একবারও গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখছি না এই ভালবাসা দিবসের উৎপত্তি বা এর সঠিক ইতিহাস। আমরা সবসময়ই একটা কমন কথা বলে থাকি আর তা-হলো বাংলাদেশে আমার ৯০% মুসলিম কিন্তু এই কথার কতটুকু ভিত্তি আমরা স্থাপন করতে পারছি তা কি আমাদের বোধ গম্য আছে? সত্যিই যদি ৯০% মুসলমান আমরা বাংলাদেশে থেকে থাকি তাহলে পশ্চিমা বিশ্বের একটি অপ-সংস্কৃতি কে কিভাবে আকড়ে ধরে রাখছি। আসলে আমরা ৯০% মুসলিম হতে পারি করে কিন্তু ৯০% ইমানদার নয় আর তাই এই বেহায়াপনার দিকে ধুকে পড়ছি আমরা। ভালবাসা শুধু কোন নির্দিষ্ট দিনে বন্ধী রাখার নয় ভালবাসা হলো মুক্ত আকাশের মতো ৩৬৫ দিনেরই। তরুণ তরুণীদের কাছে একজন আরেকজন কে নিয়ে পার্কে, সিনেমা হলে, হোটেল -রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটানোর নাম হলো ভালবাসা। আর এই বেহায়াপনা ভালবাসার কারণে অনেক তরুণ তরুণীর জীবনে অকালে অন্ধকার নেমে আসে ; তারপরও তারা এই অপসংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসছে না। দিন দিন আরও বেশি অধপতনে হচ্ছে। বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালবাসা, ভাই- বোনের প্রতি ভালবাসা, স্বামী স্ত্রীর প্রতি স্ত্রী স্বামীর প্রতি ভালবাসা হলো একটি পারিবারিক ভালবাসার মেল বন্ধন। আবার প্রতিবেশীদের প্রতি ভালোবাসা, মানুষ হিসেবে আরেক মানুষের প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ সহ এমনকি সমাজের অসহায় নির্যাতিত- নিপীড়িত মানুষের প্রতি দয়া দেখানো এক প্রকার ভালবাসা। বর্তমানে বিশ্ব ভালবাসা নামক বেহায়াপনা কে রোধ করে ধর্মীয় চেতনা কে ধারন করে মানবিক ভালবাসা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। কেননা ধর্মীয় ভাবে যেকোন বেহায়াপনার বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আর তাই আমরা মুসলিম হিসেবে ধর্মীয় বিষয় গুলো গুরুত্ব দিয়ে তা পালন করা আমাদের জন্য ফরয। এই বেহায়াপানা রোধ করতে ধর্মীয় অনুস্বাসনের কোন বিকল্প নাই।