এদের মধ্যে কয়েকজনকে অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে বাদ দিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব আগেই জানিয়েছিল যে কয়েকটি জরিপের ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করেছেন তারা।
মনোনয়ন না পাওয়া এমপিদের মধ্যে সরকারের তিনজন প্রতিমন্ত্রীও আছেন। তারা হলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
এছাড়া সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকেও দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। মুরাদ হাসান অবশ্য রোববারই জামালপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ওদিকে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ছয়টিতে এবার প্রার্থী পরিবর্তন করেছেিআওয়ামী লীগ। চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ঢাকায় এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাগুরার একটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
সাবেক দুজন সচিব এবার নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং পিএসসি-র সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক।
অন্যদিকে সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা তার নড়াইলের আসনে আবার মনোনয়ন পেলেও মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় এবার আর দলীয় মনোনয়ন পাননি।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২২ জন নারী এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের আসনে দলীয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে প্রার্থী করলেও জাসদের নেতা হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ।
এছাড়া গত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন ও বিকল্পধারাকে যে আসনগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, সেই আসনগুলোতেও নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে একনাগাড়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ।
এর আগে সকালে গণভবনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী সাতই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে হবে।