রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাহেন্দ্র – বাস সংঘর্ষে বোয়ালখালী যুবক নিহত চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক রাজগঞ্জ বিএনপি অফিসে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি-জামাতের মধ্যে সংঘর্ষ\ আহত-১০ দলের জন‍্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন ঝাঁপা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম‍্যান মফিজুর রহমান ২৪ এর শহীদ এর স্বরণে নাঙ্গলমোড়া আন্ত: গোন্ডকাপ ফুটবল টুণামেন্টে’র বর্ণাট্য ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিআইপি মনোনীত মুহাম্মদ জুলফিকার ওসমানকে সংবর্ধনা, দুই অসহায় পরিবারের পাশে ইসলামী নবজাগরণ সংগঠন গাজীপুরে ফ্রেন্ডস ক্লাব ৯৬, গাজীপুর এর ৫ম বর্ষপূর্তি ও ফ্যামিলি উৎসব অনুষ্ঠিত সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাদপন্থীদের কোন কার্যক্রম বাংলাদেশে চলতে দেওয়া হবে না সালথায় গণঅধিকার পরিষদের শীতবস্ত্র বিতরণ

আওয়ামী লীগের ১৪ বছরে বদলে যাওয়া লালমনিরহাট

আরিফুল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৭১ বার পঠিত

আরিফুল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। পরপর টানা তিনবারের মতো বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন। আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতার ১৪ বছর পার করল। আমরা বারবার বলার চেষ্টা করি এবং সগর্বে বলিও যে, স্বাধীনতা লাভের পর ৫১ বছরের ইতিহাসে কখনোই কোনো সময়ই টানা ১৪ বছরে এতটা উন্নয়ন ঘটেনি যতটা উন্নয়ন গত ১৪ বছরে এদেশে সম্ভব হয়েছে। আমরা জানি এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে সরকারের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকায়। এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে পরিকল্পিতভাবে রূপকল্প প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আমরা এও জানি যে, বিগত ১৪ বছর দেশের সার্বিক উন্নয়নের সুপরিকল্পিত রূপকল্প প্রণয়নের পশ্চাতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও দার্শনিক অভিপ্রায়ই ছিল সক্রিয়।


লালমনিরহাটে শিক্ষা,চিকিৎসা, যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন বিদ্যমান।তিস্তা নদীর ওপর তিস্তা শেখ হাসিনা সড়ক সেতু (কাউনিয়া) ও শেখ হাসিনা দ্বিতীয় সড়ক সেতু (মহিপুর) নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে রংপুরের সঙ্গে এই জেলার দূরত্ব প্রায় ১২ কিঃ মিঃ কমে এসেছে। এই জেলার কুলাঘাটে ধরলা নদীর ওপর শেখ হাসিনা দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে জেলার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি, নাগেশ্বরীর সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন উপজেলা দুটি সড়কপথে সংযোগ তৈরি হয়েছে।এছাড়া জেলায় অসংখ্য কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

শিক্ষা খাতে উন্নয়ন লালমনিরহাট জেলায় বর্তমান ১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫টি কলেজ,১৬৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,৪৩ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,৭৮টি মাদ্রাসা, ৭৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে।২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সিভিল এ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিভিল এ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়) চালু হয় লালমনিরহাটে। এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৬শত একর জমি অধিগ্রহন এর কাজ চলমান।

পিপিআই প্রজেক্টের অধীনে ডায়াবেটিক এক শ’ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ ও হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। সেখানে স্বল্পখরচে জেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।১০০শয্যার সদর হাসপাতালটিকে ২৫০শয্যায় আধুনিক উন্নীতকরণ করা হয়েছে। নির্মাণ হয়েছে ৮তলা আধুনিক ভবন। জেলা সরকারী নার্সি ইনস্টিটিউট চালু হয়েছে।অক্সিজেন গ্যাসের মজুদ প্লান্ট নির্মাণ করে করোনাকালীন সময় থেকে চালু করা হয়েছে।


তাছাড়া জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাইজেশন কর্মসূচীর মাধ্যমে ই-সেবাসমূহ পৌঁছে দেয়া অন্যতম প্রাধিকার কর্মসূচী।ডিজিটাল ই-সেবা কেন্দ্রর মাধ্যমে জনগনের ভোগান্তির অবসান ঘটেছে।জমি খারিজ সহ সকল ভূমি সেবা এখন সল্প সময়ের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে সকল জনগন।

লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় অসংখ্য সিট মহলের জনগন যুগের পর যুগ অসহায় এবং সুবিধা বঞ্চিত ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে ৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আলোকে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের ভূ-খন্ড হয়ে গেছে এ দেশের সম্পদ। সুবিধাবঞ্চিত এসব বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী এখন সমৃদ্ধি অর্জনের পথে।লালমনিরহাট জেলায় স্বাক্ষরতার হার ৫১% থেকে ২০℅ এ নেমেছে।কালীগঞ্জে বিশেষায়িত এক শ’ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে, লালমনিরহাট হতে সরাসরি ঢাকা আধুনিক নতুন ইন্টারসিটি নতুন কোচে ট্রেন চালু করা হয়েছে,জেলার প্রতিটি থানায় ওসি সাহেবদের নতুন পিকআপ ও টহল ভ্যান দেয়া হয়েছে, প্রায় প্রতিটি সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয়ে সরকারীভাবে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গতো ১৪ বছরে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে অভাবনীয়। কেবল মাএ আওয়ামী লীগ সরকারে প্রচেষ্টায় এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

 

দূনীতি ও রাজনৈতিকঃ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল প্রকার দূনীতি ও অনিয়ম এর অবসান ঘটে।লালমনিরহাটে বিএনপি -জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন লুটপাট, দূনীতি, অনিয়মের তোপের পড়েছিল সাধারন জনগন। চুরি,ডাকাতি,সন্ত্রাস-রাহাজানিতে জনজীবন অতিষ্ঠ ছিল।বর্তমান সরকারের আমলে লালমনিহাট জেলার মানুষ শান্তিতে জীবন যাপন করছে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগনের নয় শুধু বিএনপির নেতা কর্মীদের অর্থনৈতিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। চাকরির সুবিধা সাধারণ জনগন পায়নি।২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এর উল্টো চিত্র ফুটে ওঠেছে।গতো কয়েক বছর থেকে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের নিয়োগ সচ্ছ হচ্ছে।এতে সুযোগ পাচ্ছে দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এবং সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ এর নেতাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।সুফল পেয়েছে সাধারণ জনগন।এটাই প্রমান করে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার।নিজ দলের কেউ অন্যায় করলেও পার পায়নি।


শেখ হাসিনা সরকারের এ সাফল্যর কথা দেশের বিএনপি -জামাত ও তথাকথিত একটি সুশীল সমাজ স্বীকার করতে চাইবে না।শেখ হাসিনাকে অনেক বার হত্যা করা চেষ্টা করেছে, ও বহু ষড়যন্ত্র এবং সকল বাধা অপেক্ষা করে তিন তিন বার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবে। যদি বাংলাদেশের এ উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকে তবে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।