মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আল্লামা আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসংখ্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামীলীগ সরকার একইভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের উন্নয়ন সাধনে সে ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্বইজতেমার জন্য জমি দান করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ফিলিস্তানের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেন। এবং সেখানে সাধ্যমত খাবার ও ঔষধ প্রেরণ করেন।আজও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যাচ্ছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর সর্বপ্রথম মুসলিম ও আরব বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করেন।ও আই সি সম্মেলনে যোগদান করে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে মুসলিম বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম আজও দেশ ও সারা বিশ্বে সমদৃত।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্রীয় স্থাপন করেন। ৪০ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত জেলা পর্যায়ে চারতলা, উপজেলায় তিন তলা, উপকূলীয় এলাকায় চারতলা আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সম্মলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেন। যেখানে নারী ও পুরুষের আলাদা ওযু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, অতিথিশালা,বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহের গোসল ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, বিমান মুয়াজ্জিনদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।এছাড়ায় ইমাম-মুয়াজিনদের আবাসন সহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে।