বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আনমনা প্রাঙ্গণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য মুন্সিগঞ্জে সচিবের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘনকুয়াশায় নৌযান ৮ ঘন্টা আটকা, হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে শহীদ জিয়া পরিষদের সদর থানার সভাপতি আলী আজগর পলাশ,সম্পাদক আরিয়ান রাজ ( রউফ) উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল দোতলা ঘর ফুলবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বিগত বছরে ৬৩৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত – যাত্রী কল্যাণ সমিতি বোয়ালখালীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে “সিম” জিম্মি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
  • ২২৭ বার পঠিত

 

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ১০ জন শ্রমিকের মোবাইল সিম জিম্মি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, ইউপি সদস্য বাবুল খান ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত দরবেশ খানের ছেলে। শ্রমিকদের বাড়িও উত্তর পেকুয়া এলাকায়।

এ বিষয়ে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, তারা ৫ নং ওয়ার্ডের কাবিখা কর্মসূচির লেবার।অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি মো. বাবুল খান শ্রমিকদের সিম কার্ড জিম্মি করে দীর্ঘদিন যাবত টাকা আত্মসাৎ করছিল।বিষয়টি শ্রমিকরা বুঝতে পেরে তাদের সিম কার্ড ফেরত চাইলে উল্টো হুমকি প্রদান করেন মেম্বার। পরে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমানের সহযোগিতায় কয়েকটি সিম ফেরত দিলেও এখনও মেম্বারের নিকট আরো তিনটি সিম রয়ে গেছে।


এ বিষয়ে কামরুল ইসলাম,জবেদ,আজাহার,মোতালেব,হুমায়ুন,মিজানুর,রৌফ নামের শ্রমিকরা বলেন,আমাদের সাথে বাবুল মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসতেছে।সে আমাদের ৭ জনের নিকট থেকে ২৪ হাজার টাকা ও তিন জনের নিকট থেকে ৩২ হাজার টাকা সিম জিম্মি ও প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে।এখন আমরা কাজ চাইলেও দেয় না, টাকা চাইলেও দেয়না উল্টো আরো পুলিশ,প্রশাসনের হুমকি দেয়।তারা আরো জানান,আমরা যখন সিম রেজিষ্ট্রেশন ও বিকাশ করি তখনই ওই ইউপি সদস্য আমাদের ৭ টি তিনি জিম্মি করেন।এখন আমরা নিরুপায়, আমরা এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি।আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বাবুল খান বলেন,আমি তাদের কোন সিম জিম্মি করি নাই এবং তাদের একটি টাকাও আমি আত্মসাৎ করি নাই।বরং আমি আরো শ্রমিকদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছি।তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি।শ্রমিকরা আমার কাছে এসে বিষয়টি সম্পর্কে বলেছে। পরে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ইউপি সদস্য বাবুল খানকে জিম্মি করা সিমগুলো ফেরত দিতে বলি।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন দেওয়ান বলেন,আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি।আমি দুই পক্ষকেই ডেকেছি।কেউ আসে নাই।আমি চাই যে অপরাধী তার বিচার হোক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।