বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের কচুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা জায়গায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেছেন টেংরাখালী গ্রামের মোসারেফ শেখ(৭০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।একি গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান(৬২) নামের এক ব্যক্তি কচুয়া থানা পুলিশের কাছে এ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানাযায়।
অভিযোগ কারি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান,খেরাজ উদ্দিনের কাছ থেকে ১৯৮০ সালে ৩১.৫০ শতক জায়গা কবলা মূলে ক্রয় সূত্রে ভোগ দখল শুরু করি।যে যায়গার বিআরএস,মিউটেশন আমাদের নামে রয়েছে।তিনি আরো উল্লেখ্য করেন ১৯৯৫ সালের জরিপে ৪ প্লটে পশ্চিম পাশে (বিআরএস ৫৮৫৮),(এসএ ৭৬২) দাগের জায়গা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।এরপর একি প্লট থেকে অন্য সরিক মাহাতাব খন্দকার স্থানীয় মোসারেফ শেখের কাছে ২০১৭ সালে যায়গার কিছু অংশ বিক্রি করেন।এরপর ২০২১ সালে সব পক্ষ যায়গা বুঝে নেওয়ার সময় জটিলতা সৃষ্টি হয়।পরের বছর ঐ যায়গার গাছকাটা নিয়ে বাঁধাদিলে উকিল সালিসি মাধ্যমেও সমাধানে আসেনি।বরং জোর পূর্বক আমার অংশ দখল করে।এনিয়ে বিভিন্ন যায়গায় সালিস বৈঠক ও অভিযোগ করেও কোন সমাধানে আসেনি।বরং আমার নামে বিভিন্ন সময় ঘর পোরানো সহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করে চাপে রাখার চেষ্টা করে।একপর্যায়ে মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে মোসারেফ শেখ(৭০),মোসারেফ শেখের ছেলে মোঃসোহবান শেখ(৪০) মৃত কাদের বালীর ছেলে ওবাইদুল বালী(৪০) এর নাম উল্লেখ্য করে গত ৭/০৩/২০২৩ ইং তারিখ মোকাম কচুয়া সহকারী জজ আদালতে বাটোয়ারা বাবদ মোকদ্দমা দাখিল করি।পরবর্তীতে ১৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখ ১-৩ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং নিষেধাজ্ঞার পেপার সম্পর্কে কচুয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অবহিত করেছে কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আমার যায়গায় জোরপূর্বক মোসারেফ শেখ গত ১৯ মার্চ রাতে ১ টি ও ২৮ মার্চ দিনে ১টি সহ মোট ২টি ঘর তৈরি করে।প্রথম ঘর নির্মাণের পরদিন ২০/০৩/২০২৩ ইং তারিখ এ বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।এখন নিরুপায় হয়ে জোরপূর্বক দখলকৃত জায়গা ফিরে পেতে আইনি সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে মোসারেফ শেখের ছেলে মোঃসোহবান শেখ বলেন,আমরা এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা কাগজ বা সংবাদ পাইনি।উক্ত জায়গায় আমরা ১৫ দিন আগেই ঘর তৈরি করেছি।শুরু থেকে এই জায়গা আমরা ভোগ দখল করছি আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।