সুরঞ্জনার খুব মন খারাপ
বহুদিন হয় হিমাদ্রীর দেখা নেই
অথচ রোজ দু’টো গোলাপ হাতে বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে শরত।
তার দিকে কোনদিন ও সুরঞ্জনা ফিরে তাকায় নি
কিন্তু আজ যে খুব ইচ্ছে হচ্ছে একটু কথা বলার
যেই মেয়েটি তার দিকে তাকালো…
অমনি শরতের হাত থেকে ফুল গুলো পড়ে গেলো
কুড়িয়ে নিলো সুরঞ্জনা।
জানতে চাইলো, তুমি রোজ কেন ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকো?
কিসের আশায়?
শরতের স্পষ্ট জবাব , আজকের এই দিনটির আশায়।
আজ যে আমার বড় মন খারাপ।
মন ভালো হওয়ার দাওয়া আমার কাছে আছে
বুকের ঠিক বাম পাশটায় এক বিরাট কাশবন
একটু বেড়াতে এসো সেখানে, তোমার মন ভালো হয়ে যাবে।
সত্যি বলছ?
এক সত্যি, দুই সত্যি, তিন সত্যি
হাত টা বাড়াও….
ওখানে একটি আকাশ ও আছে
ছুঁয়ে দেখো…
নীল মেঘগুলো তোমার হাতে এসে জড়ো হবে
হয়তো হিমাদ্রীর বরফ গলতে শুরু করবে
মন ভালো হবেই তোমার।
ততক্ষণে সুরঞ্জনার চোখে বৃষ্টি
থইথই করছে এক নদী জল।
কাঁদছ কেন সুরঞ্জনা?
তুমি সুনয়না, সুহাসিনী, সুভাষিণী
জগতের সকল “সু” তুমি
তোমার সবটুকু মন খারাপ আমায় দাও
লিখে দেবো তোমার নামে একটি আকাশ ও এক গহিন কাশবন।
প্রতিবেদক,
মোঃ শফিকুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার,,
দৈনিক সময়ের সংলাপ পত্রিকা।