সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ইছামতি,কালিন্দী ও কাঁকশিয়ালী তিন নদীর মোহনায় মিলন মেলা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার আজ বিজয়া দশমীর দ্বিতীয় দিন। শুভ বিজয়া দশমীর দিন মঙ্গলবার থাকায় এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি না থাকায় অনেক জায়গাতেই বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন করেননি সে সকল মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন করেন। তিন নদীর মোহনায় বাংলাদেশ অংশে দুটি পাড়ে কালিগঞ্জ ভাড়াশিমলা ও কালিগঞ্জ বসন্তপুর এবং অপর একটি ভারতীয় পাড়ে হিঙ্গলগঞ্জ অবস্থিত।এখানে বিগত বহুবছর যাবত মিলন মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের হাজার হাজার দর্শনার্থী একত্রিত হয়ে অসংখ্য প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে থাকেন।
শুধুমাত্র বিগত কয়েক বছর মিলনমেলা না হলেও নদীতে ভারতীয় পাশে অসংখ্য নৌযান ঘুরাঘুরির মাধ্যমে কিছুটা উৎসবমুখর পরিবেশে বিজিবি ও বিএসএফ এর টহলের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে, কিন্তু এবছর সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে ভারতীয় সাইটে নৌজানের সংখ্যা কম থাকলেও সে তুলনায় বাংলাদেশের পাশে উল্লেখ্য নৌজানের সংখ্যা অনেকাংশেই বেশি ছিল। তবে প্রশাসনিক কড়া নজরদারির মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে ।
দর্শনার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করে জানা যায় তাদের ইচ্ছা পূর্বের ন্যায় দুই বাংলার মিলন মেলার মাধ্যমে বিজয় দশমীর প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু দুর্গাপূজার আগেই বিজেপি-বিএসএফ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠকে উভয় দেশের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভারত ও বাংলাদেশের হাজার হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল। তবে নদীতে বেশ কিছু নৌযানে দর্শনার্থী ও প্রতিমা নিয়ে বিজয়ের প্রস্তুতি ছিল কিন্তু প্রশাসনের স্পিরিট বোর্ড ছিল বেশ কিছু যার মাধ্যমে রাখা হয়েছিল কঠিন নজরদারি। অবশেষে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন করেন। বিসর্জনের পূর্ব মুহূর্তে বিজয়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিক,বিজিবি, পুলিশ,আনসার, গ্রাম পুলিশ,জনপ্রতিনিধি গন।