শিমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কালিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন, অভিযোগের সত্যতা না মেলায় অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে শান্তিকামী জনতা। ঘটনাটি উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় ঘটেছে।বর্তমানে সংশ্লিষ্ট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন এর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি প্রকল্পের কাজ হয়নি মর্মে দুদকে অভিযোগ করেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃত সলেমান সরদারের পুত্র সুরুজ সরদার।অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে সরেজমিনে তদন্ত করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়সীম উদ্দীন।তিনি যথাযথ প্রকল্পের তদন্তকালীন অভিযোগ এর প্রকল্প গুলো পরিদর্শন করেন।এসময়ে বাদী ও বিবাদী, পরিষদবর্গসহ সচেতন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । তবে অভিযোগের সত্যতা না মেলায় অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে স্থানীয় জনগন।
এব্যাপরে জানতে চাইলে কৃষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমীর সাবেক শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, বালিয়াডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরহোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঈমান আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর, ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম তরফদার, মাওলানা ডাক্তার আয়ুব হোসেনসহ সচেতন ব্যাক্তিবর্গ জানান, দুদকে অভিযোগকারী সুরুজ সরদার ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান কেএম মোশারাফ হোসেন ও চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও তা মিথ্যা প্রমানিত হয়।
একইভাবে বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক অভিযোগ দায়ের করেছে। সেটাও অহেতুক ষড়যন্ত্রমুলক, কাল্পনিক ও হয়রানিকর। তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তভার পাওয়ার পরে যথাযথ তদন্ত করতে সক্ষম হয়েছি, যথাসময়ে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে। চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের নিকট তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে অহেতুক হয়রানি ও উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রূখতে অসত্য অভিযোগ দায়ের করে চলেছে।
উল্লেখ্য যে,জেলার কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন বয়সে জেলার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ও নারী। জেলার ৭৮ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মধ্যে দুইজন নারী চেয়ারম্যান,একজন কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর অপরজন কলারোয়ার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান। সাফিয়ার বাবা শহীদ কে এম মোশারাফ হোসেন ও মাতা আকলিমা খাতুন অত্র ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সাফিয়াও নির্বাচিত হওয়ার পর হতে জনকল্যাণে নিবেদিত হয়ে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি গ্রামে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে তিনি পরিষদ বর্গকে নিয়ে এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গের পরামর্শ মোতাবেক ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট নির্মান ও সংস্কারের কাজ চলমান রেখেছেন। জানা গেছে, কেএম মোশারাফ হোসেন জাতীয় পাটির উপজেলা সেক্রেটারী পদে ছিলেন, সাফিয়া পারভীনও জাতীয় পাটির সাথে থেকে রাজনীতি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় মাহিলা পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সেকারণেই স্থানীয় ভিন্ন মতের অনেক নেতা তার সকল কাজে বাঁধা হযে দাঁড়ায়। তারই অংশ হিসাবে সম্প্রতি ২০২১ -২০২২ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের পৃথক পাঁচটি প্রকল্পের উপর সম্পুর্ণ হয়রানীর লক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন আ’লীগের সেক্রেটারী সুরুজ সরদার।