তাপস কুমার ঘোষঃ
কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামে দুর্বৃত্তরা অজ্ঞান করে ডাক্তার শেখ শামসুর রহমানের ভবনের প্রথম ও দ্বিতল ভবনের তালা ও জানলার গ্রিল কেটে ১০ লক্ষাধিক টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে গেছে অজ্ঞান পাটি নামক দুর্বৃত্তরা। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুসহ চেতনানাশকে অসুস্থ ৭ জন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সুশীল সমাজ।
থানা ও সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, প্রবীন গ্রাম্য চিকিৎসক আলহাজ্ব শামসুর রহমানের বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গ্রিল কেটে আলমারি ও আয়রনস্টোর ভেঙে ২০ভরি স্বর্ণালংকার সহ নগদ ১০ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি বুধবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঘটেছে।মহৎপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শামসুর রহমান। প্রতিদিনের মতো গতকাল ভোরে আজান না দেওয়ায় তার ভাইপো নাসির উদ্দিন মসজিদে চাচাকে দেখতে না পেয়ে মসজিদে তালা মারা দেখতে পায় এ সময় মসজিদের পাশেই চাচা শামসুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে যায় ডাকাডাকি করতে থাকে এক পর্যায়ে বাড়ির ক্লাসিবল গেট খোলা তখন বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে দেখতে পায় ডাক্তার শামসুর রহমান সহ তার চাচি, চাচাতো ভাই, এবং ভাবীরা সকলেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসক ডেকে নিয়ে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা স্যালাইন দেওয়ার পর বেলা ১১ টা সাড়ে ১১টার দিকে জ্ঞান ফিরে আসে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তার বাড়িতে দেখতে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তিরা বাড়িতেই চিকিৎসায় আছেন। অসুস্থগন হলেন শেখ শামসুর রহমান (৭০) তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬৫) দুই ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর হোসেন (৪০) এবং ২ বৌমাসহ ৭ জন। রাস্তার পাশে বাড়িতে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাওয়ায় এধরনের একটি ঘটায় এলাকায় সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনিভাবে কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় চুরি। এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন পুলিশ তৎপর আছে, তদন্ত চলছে দুর্বৃত্তদের চিহৃিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।