শিমুল হোসেন,তাপস কুমার ঘোষ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকসহ অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীর বিস্তর অভিযোগ।সে উপজেলার চক পরানপুর গ্রামের শওকাত হোসেনের পুত্র। তার বিরুদ্ধে সময়ে স্কুলে না আসা, অদক্ষতা, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি, মিথ্যা মামলা দায়ের করাসহ ডজন ডজন অভিযোগ করেছেন তারা। সোমবার (৬ মার্চ) বেলা ৩টায় উপজেলার সুরত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ১২জন শিক্ষক ও স্টাফরা।
প্রধান শিক্ষক হযরত আলী বলেন স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মুকুল এর কারণে স্কুলের অর্জিত সন্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সে ঠিকমত স্কুলে আসেনা, ক্লাস নেয়না, দলবাজি করে আর তার বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা করে হয়রানী করায়। সম্প্রতি সে গলায় দড়ি দেওয়ার নাটক সাজায়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এবং শতভাগ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। সে কতিপয় স্বার্থান্বেশীর ইন্ধনে কাল্পনিক আত্মহত্যার নাটক সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ত্রিশটিরও বেশি শোকজ ও একাধিক জিডি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য, ইউপি সদস্য ও যুবলীগের ইউনিয়ন নেতা মাসুম বিল্লাহ সুজন বলেন মুকুল মাষ্টারের কারণেই স্কুলের লেখাপড়া ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। কথায় কথায় সে স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিকর মামলা করে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে। বারবার নিজের দোষ স্বীকার করে মুচালিকা দিয়ে রেহাই পেয়ে যায়। তার হীন ছোবল ও কবল থেকে স্কুলকে বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সহকারি প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, সিনিঃ শিক্ষক গুনধর মিস্ত্রি, সিনিঃ শিক্ষক দীপঙ্কর মন্ডল, সিনিঃ শিক্ষক রাকিব হোসেন, সিনিঃ শিক্ষক আব্দুল করিমসহ ১২ জন। ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ সুজন প্রমুখ। মুঠোফোনে সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মুকুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তাদের অভিযোগ সব ঠিক নয়, তবে আমি কিছু কিছু দোষ করেছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও তার দোসররা আমার বেতন আটকিয়ে পঙ্গু করে ফেলেছে। আমিও প্রতিকার চাই।