শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কালিগঞ্জের পল্লীতে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও অন্যের রেকডিয়,দুইযুগ ধরে দখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে হোসেনপুর মৌজায় ঘটেছে। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গোবিন্দপুর গ্রামের জিয়াদ আলী গাজীর পুত্র আখতারুজ্জামান (৪৫)।তার ক্রয়কৃত ও দুইযুগ যাবত দখলীয় সম্পত্তি হোসেনপুর গ্রামের বিমল হালদারের পুত্র রামপ্রসাদ হালদার, পঞ্চানন হালদারের পুত্র বিশ্বজিত হালদার গংরা জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । বাঁধাদিতে গেলে আক্তারুজ্জামান এর শশুর আব্দুর রাজ্জাকসহ নিকটজনদের মারপিট ও নানান হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে দখলবাজরা। যে কোনো সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
শুক্রবারে সরেজমিনে গেলে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সেক্রেটারী সুরুজ সরদার, মানপুর গ্রামের এসহাক আলী গাজীর পুত্র আব্দুল হাই, আব্দুর রাজ্জাক, হোসেনপুর গ্রামের সুঁকচাঁদ আলী গাজীর পুত্র মাওঃ আব্দুস সাত্তার আজাদী, আব্দুল গফফার গাজীসহ অনেকে জানান, আক্তারুজ্জামান বর্তমানে উক্ত জমির মূল মালিক এবং তারই দখলীয়। কিছু কুচক্রী ও পরসম্পদলোভীর ইন্ধনে কাল্পনিক বিরোধ সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করে আসছে। বিষয়টি ঘীরে সংশ্লীষ্ট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানাগেছে।
হোসেনপুর মৌজার ২৪২ নং জেএল এর অধীনে ৩২ নং হাল খতিয়ানে ৯১২ দাগে ৫৯ জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোগদখলিকার আছেন প্রকৃত মালিক আখতারুজ্জামান। এ জমি নিয়ে রামপ্রসাদ হালদার গং ২৪/১১/২২ তারিখে ৪২২/২২ নং মামলা দায়ের করে এবং একই তারিখে ৪৯২/২২ নং মামলা দায়ের করে আখতারুজ্জামান। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেসহ থানা পুলিশ শালিসি ব্যবস্থা করলেও সমাধানে আসেনি হালদার গং। একপর্যায়ে আদালতের রায়ের পূর্বে তপসিল সম্পত্তিতে সহাবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন শালিষকারকগন। কিন্তু কোনো আদেশ ও নির্দেশ মানছে না হালদার গং। এ নিয়ে রামপ্রসাদ হালদার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মূল সম্পত্তি আমাদের পৈত্রিক। আমারা শান্তিপুর্ণ ভাবে দখলে নিতে চাই।