হাফিজুর রহমান,কালীগঞ্জ থেকেঃ
বাবার জমি ভাগ বাটোয়ারা কে কেন্দ্র করে সৎ ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং কোপানোর ঘটনায় উভয়পক্ষে নারী-পুরুষ শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৭টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের আড়ং গাছা গ্রামে।
ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী উভয় পক্ষের আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে আহতরা হলো আড়ংগাছা গ্রামের শামসুদ্দিন গাজীর পুত্র বাবলু গাজী (৫০) মুক্তার গাজী (৩৫) আমজাদ হোসেন (৪৫) আজিজুর রহমান (৩২) ইফতেখার গাজী (৪৪) তার স্ত্রী রাশিদা বেগম (৩৫) পুত্র আজমীর হোসেন (১৯) বাবলু গাজীর স্ত্রী তাহমিনা( ২৭)শিশু কন্যা ইলমা পারভীন( ১২) আমজাদ হোসেনের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩২) আজিয়ার রহমানের স্ত্রী ফরিদা বেগম (২২) আবু সাঈদীর স্ত্রী খাতুন (৩২)।
এরমধ্যে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবুল গাজী, তার স্ত্রী তাহমিনা খাতুন, ইফতিকার ও তার স্ত্রীর রাশিদা খাতুন কে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা পিতা শামসুদ্দিন গাজী সাংবাদিকদের জানায় তার প্রথম স্ত্রী ৬ পুত্র এবং ২ কন্যা রেখে মারা যায়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিবাহ করলে সে ঘরে ২ পুত্র ১ কন্যা সন্তান আছে। জমি নিয়ে ছেলে মেয়েদের চাপের মুখে তিনি সব সন্তানদের নামে জমি লিখে দিয়ে নিজ ভরণপোষণের জন্য ১০ বিঘা জমি রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করে আসছে। উক্ত সম্পত্তি প্রথম পক্ষের ছেলেমেয়েদের নামে লিখে না দেওয়ায় তারা প্রায় আমাকে সহ আমার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে মেয়েদের মারধর এবং একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমি আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের নিকট দেন। গতকাল শনিবার সেই তদন্তের দিন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ধার্য ছিল। সকালে আমি সাতক্ষীরায় রওনার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার প্রথম পক্ষের পুত্র আশারফ, বাবলুর নেতৃত্বে একযোগে আমার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের উপর হামলা মারপিট করলে উভয় পক্ষের মারামারি কোপাকুপিতে আহত হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় কোন অভিযোগ কোন পক্ষেই দেয়নি।