মোঃ শফিকুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
শুক্রবার,১০ই মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ, সকাল ১০ ঘটিকায়, উলিপুর অডিটরিয়ামে
“মানবতার ঘর যুব ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা” এবং “উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের” এর উদ্যোগে “সেচ্ছাসেবী মিলনমেলা-২০২৩” এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত মিলন মেলায় সেচ্ছাসেবীদের প্রায় ১১৪ টির মত সংগঠন অংশগ্রহন করে।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ২৭ কুড়িগ্রাম ০৩ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম.এ মতিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন এ এস পি, উলিপুর সার্কেল, মো. মহিবুল ইসলাম।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ২৭ কুড়িগ্রাম ৩ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম.এ মতিন বলেন, সেচ্ছাসেবীরা এই সমাজের সোনার মানুষ, যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তারান।
আর তাদের জন্য এই এই অসাধারণ অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশংসনীয়।
মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে “এ এস পি, উলিপুর সার্কেল, মো. মহিবুল ইসলাম সেচ্ছাসেবকদের প্রশংসা করেন। এবং তিনি বলেন আমি নিজেও একজন সেচ্ছাসেবী।
গত বছরের বন্যায় আমি নিজের উদ্যোগে প্রায় ১০ হাজার মানুষের দারে সহোযোগিতার হাত বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমি সেচ্ছাসেবী পাশে ছিলাম আছি থাকবো। আমি পুলিশ সহো দেশের সকল চাকুরীক্ষেত্রে সেচ্ছাসেবীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়াও সেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলায় বক্তব্য রাখেন উলিপুরে অন্যতম লেখক জনাব আবু হেনা মুস্তফা,
তিনি বলেন,
এই জটিল পৃথিবীতে এখনো কিছু মানুষ কোনো স্বার্থ ছাড়াই মানুষের পাশে দাঁড়ায়, নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলে অন্যের উপকার করে। এরাই স্বেচ্ছাসেবী, যারা মানুষ, দেশ, জাতি বা রাষ্ট্র কোনো সংকটে পতিত হলেই কারো হুকুমের জন্য না থেকে নিজের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে এগিয়ে যায়। এ সময়ে যারা এগুলো করে, তারাই সত্যকার মানবতাবাদী, মানুষের মাঝে সুন্দরতম। পৃথিবীর শুরু থেকে স্বেচ্ছাসেবক ছিলো, আজও আছে এবং পরেও থাকবে। স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার মাধ্যমে একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে আর সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে সৎ হতে হবে।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে “মিলন মেলায়” উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন,
কুড়িগ্রাম সমিতি ঢাকার সাবেক মহাসচিব জনাব সাইদুল আবেদীন ডলার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক তাজুল ইসলাম তাজ, সহ অন্যান্য সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ।
বক্তব্য উত্তর, “মিলন মেলায়” সামাজিক আন্দোলনে সর্বোচ্চ অবদান রাখায় বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম জেলায় পা দিয়ে লিখে এ প্লাস প্রাপ্ত দশজন শিক্ষার্থী কে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের জন্য উপহার হিসেবে ছিল, বই,ক্যালেন্ডার সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী।