সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বজ্রযোগিনী প্রক্তন ছাত্র ও অভিভাবক ফোরাম এর উপলক্ষে বৃত্তি প্রদান মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীর দিঘীরপাড় ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে গন সমাবেশ অনুষ্ঠিত সুজন এর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কমিটি অনুমোদন কালিগঞ্জে ইকরা তা’লীমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসায় সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে প্রত্যয় আইডিয়াল স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আইইউটির শিক্ষার্থীর মৃত্যু ৩ আহত ১৫ রংপুরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের বিভাগীয় সমাবেশ কালিগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৩৪৭বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক  বোয়ালখালীতে মদ বিক্রেতা আটক

কৃষিতে নারীরা অবদান রাখলেও,নেই প্রাপ্য স্বীকৃতি  

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ১ মে, ২০২৩
  • ১০৪ বার পঠিত

এস এ আখঞ্জী,তাহিরপুরঃ

কথায় আছে না,যে রাধে সে চুলও বাঁধে।যে নারী নরম হাতে পরম মমতায় আগলে রাখছে সংসার, সেই নারী শক্তহাতে কৃষি কাজে বিশেষ অবদান থাকলেও নেই প্রাপ্য স্বীকৃতি। তবুও পরিবার বা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি কৃষি কাজে পিছিয়ে নেই সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা।নিজের কর্মদক্ষতা দিয়েই নিজ নিজ কাজে এগিয়ে যাচ্ছেন নারী সমাজ।গৃহের কাজের পাশাপাশি ক্ষেত খামারের কাজে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাথে বিশেষ অবদান রাখছেন এই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নারীরা।সবজি চাষ,ধান চাষের সর্বক্ষেত্রেই পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্য।

তথ্যসুত্রে জানাযায় আমাদের দেশে মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক নারী।আর নারী শ্রমশক্তির মধ্যে ৭০ শতাংশ কৃষি,বনায়ন ও মৎস্য খাতের সঙ্গে জড়িত। কৃষি ও এর উপখাতের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে নারী।কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোন পরিসংখ্যান নারীর এ উপস্থিতির হিসাব নেই।এমনকি কৃষি কাজে জড়িত এ বিপুলসংখ্যক নারী শ্রমিকের নেই মূল্যায়ন ও যথাযথ স্বীকৃতি। বরং তারা সর্বত্র বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।গ্রামে বসবাসরত প্রতিটি নারীই নিজ পরিবারের কৃষি কাজের বীজতলা তৈরি,বীজ বপন,চারা উত্তোলন ও চারারোপন থেকে শুরু করে ধানকাটার পর ধান শুকানো,ধান ঝাড়াই,খড়কুটো শুকানো,গোলায় তুলা পর্যন্ত নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্য।এছাড়াও এলাকার আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে এই কৃষি কাজে অনেক নারীকেই শ্রমিকের কাজ করতেও হয়।পারিবারিক প্রতিপত্তি ও সামাজিক মর্যাদার কারণে নারীরা নিজের ঘরের কিংবা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কৃষি কাজে শ্রমিকের কাজ করলেও তা প্রকাশে তারা অপারগতা জানান।গ্রামের প্রতিটি পরিবারের মা,স্ত্রী কন্যা কোন না কোন ভাবে কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত। কিন্তু ব্যাপারটি খুব একটা প্রকাশ্যে আসে না।এক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা কাজ করছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সচেতন মহল জানান কৃষি খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের স্বীকৃতি ও ন্যায্য মজুরী প্রদান নিশ্চিত করতে পারলে দেশের কৃষি উৎপাদন কাজে গ্রামীণ নারীরা আরও আগ্রহী হবেন।এতে কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়বে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি দেশে কৃষিকে যেমন উপেক্ষা করার সুযোগ নেই,তেমনি এ খাতে নারীর আবদাও অস্বীকার করার উপায় নেই।

উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর স্ত্রী (নিঃসন্তান) ছফুরা বেগম জানান,কৃষিকাজ ও কয়লা চুনাপাথর পরিহন কাজের উপর নির্ভর করেই তাদের সংসার চলে।সংসারের কাজ শেষে পরিবহণ ও কৃষি কাজে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান।এতে প্রাপ্য মজুরি না পাওয়ায় খুবই কষ্ঠে দিনাতিপাত করছে।

একই উপজেলার মুজরাই গ্রামের বিধবা নারী রেখা বর্মণ জানান স্বামী মারা যাওয়ার শিশু বাচ্চাদের নিয়া বেঁচে থাকার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি মাটির কাজ,প্রতি কৃষি মৌসুমে কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজ করে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।বাড়ি বাড়ি কাজ করলেও একই কাজে নারীপুরুষ বৈষম্যের শীকর হই আমরা পুরুষরা যে মজুরি পায় আমরা তার অর্ধেক বা তিন ভাগের দুইভাগ মজুরি পাই।প্রাপ্ত মজুরি পাইলে সুন্দর ভাবে সংসার চালাতে পারতাম।

তাহিরপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান নারীদের বৈষম্যের কথা আমরা বিভিন্ন দিবসে কথা বলে আসছি, তাদের কাজের ক্ষেত্রে ন্যায্য মজুরির দাবি নারী দিবসে জানিয়ে আসছি এছাড়া আমাদের করার কিছুই নেই।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।