মো রাসেল সরকার,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার, অনিয়ম, ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন অত্র ইউনিয়নের ১১জন ইউপি সদস্য।আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থাপত্র জমা দেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা গেছে।
এসময় উপস্থিত ইউপি সদস্যগণ বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিধিমালা অনুসারে গতানুগতিক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।
এ বেপার ইউপি সদস্য ১ নং পেনেল চেয়ারম্যান রিটু প্রধান জানান তিনি আমায় প্যানেল চেয়ারম্যান করার আমি কখনো ইউনিয়ন পরিষদ এর বিষয় কথা বলতাম না আমাকে অনেক সময় মেম্বারগণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বললে আমি সবাইকে বলেছিলাম আমি ১বছর পরিষদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করিবো না।
১বছর শেষ তাই সবাই আমাকে বলে এখনতো চেয়ারম্যান এর সাথে আপনি আলোচনা করিতে পারেন।
আমি চেয়ারম্যান সাথে কথা বলি মেম্বারদের সব বিষয় নিয়ে তিনি আমায় বলে তারা যা বলে সত্য নয় আমি তাকে বলি তাদের নিয়ে আমি আলোচনা করি তারপর আপনার সাথে বসে কথা বলবো তিনি বলেন ঠিক আছে আমরা সকল মেম্বার এক সাথে আলোচনা করে তাকে ৮ধফা লিখিত নিয়ে পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান এর সাথ আলোচনা করি তিনি ৬টি মেনে নেয় আমরাও সবাই তার সাথে একমত হই।
তারপর আবার সেই আগের মত তিনি তারমত আমরা আমাদের মত।
তিনি বিভিন্ন সময় মেম্বার দের বলে আমার বিরোধে গিয়ে কোন লাভ হবে না।
মেম্বারগণ আমার সাথে আলোচনা করিলে আমি তার কাছের একজন কে বলি চেয়ারম্যান কে বলেন অন্তত ৬মাস চুপ থাকে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করিতে না হয় সমস্যা হবে।
সে তার কাছে গিয়ে আলোচনা করিলে তিনি বলেন পারলে কিছু করে দেখতে পারে।
তাই আজ একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে একজন দাম্ভিক অংহকারী বেক্তির দাম্ভিকতার দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য অনাস্থাপত্র দিয়েছি।
এবিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান,বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র পেয়েছি,বাংলাদেশ স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিধিমালা অনুসারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।