এম,টি, রহমান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি.এম মাহামুদুল হককে গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার সময় পাটগাতী বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় গত ৮ই মে গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুল ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালীন সময় পুলিশ ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। গন্ডগোলে সাধারণ ভোটারসহ টুংগীপাড়া থানার এস আই বদিয়ার আহত হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময় এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়, মামলায় উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান এর যারা বিরোধিতা করেছে তাদের বেঁছে বেঁছে ২০ জনের নাম দিয়ে সাথে অজ্ঞতনামা ২০০ জনকে রেখে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদি হন টুঙ্গিপাড়া থানার এস আই বদিয়ার। যারা ঘটনার সাথে জড়িত নয় তাদেরকে ও এই মামলায় জড়ানো হয়।
মামলার কারনে গিমাডাঙ্গা গ্রাম জনশুন্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচন নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা ও স্রীরামকান্দি গ্রামের রেষারিষির রেস ধরে গিমাডাঙ্গার ৬৫/৭০ বছরের বৃদ্ধদেরকেও এই মামলায় ফাঁসানো হয়।
গত ৮ই মে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুল ভোটকেন্দ্রে গোলযোগের খবর শুনে গনমাধ্যম কর্মীদের একটি দল ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে এস,আই বদিয়ারকে ঘটনাস্থলে পায় নাই ।শোনা যায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
গোলযোগের ব্যপারে সাধারন ভোটারদের কাছে জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, এস,আই বদিয়ার ভোট কেন্দ্রে আসা ভোটারদের দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে বলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই দোয়াত কলম মার্কায় সিল মারতে যান, ব্যপারটা আনারস প্রতীকের লোকজনের নজরে পড়লে তারা বাঁধা দেয় পরবর্তীতে কথা কাটাকাটি এবং সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সংঘাতে এস,আই বদিয়ার সহ সাধারন ভোটাররাও আহত হন। তারা আরো বলেন প্রশাসনের লোক হয়ে যদি প্রার্থীর পক্ষে ভোট কাটেন তাহলে এটা কেমন হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাতীত সব নির্বাচনে গিমাডাঙ্গা ও শ্রীরামকান্দি গ্রামে যার যার এলাকা সে সে দখল করে রাখে। গিমাডাঙ্গা গ্রামের ভোট কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীর ভোট কাটতে গেলে কলহ বাড়বে। এই সংঘাতের মূল কারন তদন্ত সাপেক্ষে বের করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকা বাসী।