কামরুজ্জামান শিমুল,বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান এর মধ্যে আনুমানিক ৬ একর একটি বিরোধপূর্ণ ঘেরের দখল নিয়ে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। ঘেরের একটি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় সুন্দরবন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য আহাদুল শেখ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার গ্রূপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, সুন্দরবন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য আহাদুল শেখের দখলকৃত মৎস্য খামারে চিংড়ি ঘেরের সংস্কার কাজ করার সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার এর অনুসারীরা তাদের কাজে বাঁধা দিলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় গ্রূপের ৭ জন আহত হয়। এ সময় রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে আগুন নিভিয়ে আহতদের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহতরা হলেন – এলাকার লুৎফর খানের ছেলে লাহু খান (৪০), মতিয়ার শেখের ছেলে মনি শেখ (৪০), বাবুল খানের স্ত্রী জোসনা বেগম (৪৮), বারেক মল্লিকের ছেলে ওহিদ মল্লিক (৪৪) ও রুহুল মল্লিক (৪৫), বারেক মল্লিকের স্ত্রী রোবেদা খাতুন (৬০) এবং বজলুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬৫)।
বাগেরহাট জেলা মিডিয়া সেলের পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় সুন্দরবন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য আহাদুল শেখ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার গ্রূপের মধ্যে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। খবর শুনে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মোংলা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানা গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।