এস এ আখঞ্জী,তাহিরপুঃ-
মেঘালয়ের সীমান্ত ঘেঁষা, সবুজ সমারোহের চকে, কৃষকের রোপণ করা আমন ধানের চারা, যৌবনে পরিপূর্ণ হয়ে,সেজেছে হলুদ গালিছার আবরণে। পরিপোক্ষ ধান আজ রুপ নিয়েছে বাম্পার ফলনে। নিয়তির এই নিয়ামতের বাম্পার ফলনে দেখে, কৃষকের খুশির জোয়ার বইছে প্রতিটি কৃষক- কৃষাণীর পরিবারে।
২৩ অক্টোবর সকালে, সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই, চানপুর, করইগড়ার আবাদি জমির ফসল বাম্পার ফলনে।
চক সমুহে শুধু ধান আর ধান। মৃদু বাতাসে ধানের শীষ হেলে দুলে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে। আর কদিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে। কৃষকরা বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নেই আমন ধানের চারা রোপণ করেছে কৃষক। বাদাঘাট, বালিজুরী,ও সদর,উত্তর শ্রীপুর, উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল।
কৃষকের কষ্টার্জিত সোনালী ফসল উর্বর মাটির গুণে দ্নিগুনে এবার। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে, চাহিদা মিটিয়ে ও
প্রতিটি কৃষকের পরিবার থেকে কিছু ধান বিক্রয় করে আয় করা সম্ভব হবে।
উপজেলার তরং গ্রামের ময়নূল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমি একজন কৃষক প্রতি বছরেই বোর ধান চাষাবাদ করি। চাষবাস সম্মন্ধে ধারণা আছে আমার। তবে চলতি বছরের, আমন ধানের ফলন দেখে অবাক। মনে হয় বোর ধানের চেয়ে, আমন ধান বেশী হবে ।
উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শেখ মোস্তফা বলেন, আমি ও দুই একক জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। আশা অনুরুপ ফসল হয়েছে।যদি ঘরে তুলতে পারি, চাহিদা মিটিয়ে ও কিছু বিক্রয় করতে পারব। সত্য কথা বলতে, কষক বান্ধব সরকার। কৃষকের সুবিধার্তে বীজ, সার, নগদ টাকা দিয়ে ও সহায়তা করছেন।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬হাজার ৩শত ৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনে এর লক্ষ্য মাত্র ধরা হয়েছে ১৫হাজার ১শত ৮৩ মেঃটন ধান।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান উর দৌলা বলেন, এবার বাষ্পা ফলন হয়েছে।
লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন
কৃষকের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে,কম্ভাইটহাভেষ্টার মেশিন দেওয়া হবে। এতে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে না। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই, গোলায় ওঠবে ধান।
কাটা শেষ হবে দ্রুত ।