শামছুল আলম আখঞ্জী, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরের আবাদি জমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষক কৃষাণীরা।
এ উপজেলা ধান উৎপাদনের জন্য বিশেষ অবদান রয়েছে। আছে অনেক প্রবাদ বাক্য, যেমন :- মৎস্য, পাথর, ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ। এমন খ্যাতি, সুনাম সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে । এ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য হাওর
শনি, মাটিয়ান। পালই, মহালিয়াসহ ছোট বড় ২৩ হাওরে বোরোধান চারা সহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি চাষবাস করা হয়। আর ফসল গোলায় তুলতে পারলে, কৃষক কৃষাণী’র মুচকি হাসির ঝিলিকে উদিত হয় সূর্যের রশ্মি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর, ১৭হাজার ৪শত ৫২ হেক্টর ভূমিতে বোরো ধান চারা রোপণ করা হবে। আর এ ফসলের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে
৭০হাজার মে:টন (প্রায়) । প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনুকূলে থাকলে লক্ষ্য মাত্র ছাড়িয়েও যেতে পারে।
মাটিয়ান হাওর পাড়ের তরং গ্রামের, আক্তার হোসেন আখঞ্জী বলেন,অগ্রহায়ন মাসে চারা আমরা লাগাই না, এটা পূর্বপুরুষরা করেইনা,, তাই পৌষ মাস না আসা পর্যন্ত রোপণে যাই না,এখন পৌষ মাস আইছে, বেধুম রোয়া লাগাইতাছি। আশা করি পৌষ- মাঘ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারমু। আশা উপর ভরশা করে কষ্টার্জিত শ্রম ঘাম, দেড় দেনার সবটুকু পুঁজি হাওরের বুকে ঢেলে দিচ্ছি। আর এসব ফসল বৈশাখী মাসে ঘরে তুলতে পারলেই, সফল হব আমার মত কৃষক গণ।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান উর দৌল্লা’র কাছে জানতে চাওয়া হলে? তিনি বলেন, এ উপজেলায় ১৭হাজার৪শত ৫২ হেক্টর ভূমিতে চারা রোপণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা স্বরুপ ,, ২৯শত জনকে ২কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান ও ৩ হাজার জনকে ৫কেজি উপচি ধানসহ ২০কেজি সার প্রদান করা হয়।