শামছুল আলম আখঞ্জী, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
হাওর অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা। যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে পিছিয়ে রয়েছে, এর মানোন্নয়নে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২২জুলাই) সকাল ১১টার সময় উপজেলা আওয়ামীগ কার্যালয়ে চত্বরে, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের আয়োজনে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা এর সভাপতিত্বে, তাহিরপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার লিটন, নোয়ানগর সরকারি প্রাঃ বিদ্যাঃ প্রঃ শিক্ষক শেখর রায়,এর যৌথ সঞ্চালনায়
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ এক আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন , বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাব উদ্দিন,ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান,উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, অজয় দে,স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিকাশ রঞ্জন তালুকদার,প্রধান শিক্ষক মুবাশ্বির আলী,আজিজুল হক,নারায়ন চক্রবর্তী,সহকারী শিক্ষক হোসেন আহমদ তৌফিক,মুতাসিম বিল্লাহ শিপ্রা রায়,প্রমূখ।
শিক্ষক নেতারা বক্তব্যের মাধ্যমে, তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে, যোগাযোগ বিছিন্ন’র সমস্যা লাগবে,হাওর ভাতা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য, প্রয়োজনে আলাদা নীতিমালা তৈরি করা হয়, এমন জোরালো দাবী জানিয়েছেন, এমপি মহোদয়ের নিকট।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ,হাওর পাড়ের শিক্ষকদের পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আছেন। আর আমি বেচেঁ থাকলে খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষকদের জন্য হাওর ভাতার ব্যবস্থা করবো,শিক্ষকরা হলো মানুষ গড়ার কারিগর, শিক্ষকের পাশে সব সময় আওয়ামীলীগ সরকার আছে, পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্য বলেন, তাহিরপুর ৫০ শর্য্যা অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, পাশাপাশি প্রতিটা কমিউনিটি সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা,এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তাদের হাওর ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন এর আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯শত জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, এ ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।